দাউদ-প্রফুল যোগাযোগের অকাট্য প্রমাণ! মহারাষ্ট্রে ভোটের মুখে তীব্র অস্বস্তি বিরোধী শিবিরে

কুখ্যাত ডি- গ্যাংয়ের সঙ্গে এনসিপি নেতা ও ইউপিএ জমানার প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেলের যোগাযোগ ইডি তদন্তে সামনে আসায় বিধানসভা ভোটের মুখে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও কীভাবে দাউদ-ঘনিষ্ঠ এক অপরাধীর সঙ্গে বিরাট অঙ্কের প্রপার্টি ডিল করলেন প্রফুল, তা নিয়ে ভোটবাজারে সরব বিজেপি। এই বিষয়ে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ারের বিবৃতি দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, শরিক এনসিপির নেতার সঙ্গে দাউদ যোগের প্রমাণ মেলার বিষয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বিষয়টি থেকে তাঁরা দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন। ইউপিএ জমানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি এই বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন। যদিও মহারাষ্ট্রের বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলেছে, কেন সবসময়ই যেকোনও ভোটের ঠিক আগেই বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে বড় বড় অভিযোগ খুঁজে পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সিগুলি? দাউদ যোগাযোগ থাকলে তা নিয়ে এতদিন কিছু করা হয়নি কেন? কেনই বা মহারাষ্ট্রে ভোটের এক সপ্তাহ আগে তা প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে?

যদিও ঘটনাটি স্পর্শকাতর বুঝে সরাসরি প্রফুলের হয়ে মুখ খোলেননি কোনও নেতাই। গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, প্রাক্তন অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী প্রফুল প্যাটেল জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছেন। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব ও তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারও দায় এড়াতে পারে না।

1993 সালে ভয়াবহ মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড ও পাকিস্তানে আশ্রয়প্রাপ্ত ভারতের মোস্ট-ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল দাউদ ইব্রাহিমের অন্যতম ঘনিষ্ঠ শাকরেদ আসিফ ইকবাল মেমন ওরফে ইকবাল মির্চির সঙ্গে প্রফুলের সম্পত্তি কেনাবেচার অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি। সূত্রের খবর, এই প্রপার্টি ডিলের তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রফুল প্যাটেলকে ডাকা হয়েছে। এই সম্পত্তি কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে হাওয়ালার মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়েছে বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে, মুম্বই বিস্ফোরণের মূল চক্রী দাউদের ঘনিষ্ঠ ইকবালের স্ত্রী হাজরা মেমনের সঙ্গে প্যাটেলের লিখিত চুক্তি হয়েছিল। চুক্তিপত্রে হাজরা মেমন ও প্রফুল প্যাটেল দুজনেরই ছবি, সই, আঙুলের ছাপ রয়েছে। হাজরার স্বামী ও ডি গ্যাংয়ের অন্যতম সদস্য ইকবাল মির্চির বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচার, স্মাগলিং ও তোলাবাজির মত মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসার পরই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দাউদ যোগের অভিযোগে উত্তাল মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। আপাতত মুখে কুলুপ এঁটে প্রফুল শুধু বলছেন, যা বলার যথাসময়ে বলবেন।

 

Previous articleরেল প্রতারণা মামলায় ফের থানায় হাজিরা মুকুলের
Next articleএকই সময়ে জোড়া জয় দুই বাঙালির