জেএনইউর ছাত্রদের ইউনিয়ন রুমে তালা! ক্ষোভে ফুটছে পড়ুয়ারা

একদিকে যখন দেশজুড়ে কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ পালন শুরু হয়েছে, তখন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম জোটের ছাত্র সংসদের উপর গেরুয়া আক্রমণ চলার অভিযোগ তুলে সরব পড়ুয়ারা। নির্বাচনে গেরুয়া বাহিনী পর্যুদস্ত হওয়ার পর এবার জেএনইউ কর্তৃপক্ষ সংসদের ইউনিয়ান রুম কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্যে নেমেছে বলে উঠল অভিযোগ। তবে পড়ুয়াদের প্রবল প্রতিরোধে ঘরে তালা দেওয়া তো দূরের কথা, ধার কাছে ঘেঁষতে পারেনি নিরাপত্তারক্ষীরা।

কিন্তু হঠাৎই জেএনইউ কর্তৃপক্ষের এ হেন আচরণ কেন? সাম্প্রতিক ভোটে বাম-জোট বিপুল ভোটে জয়ী হলেও তাদের সরকারিভাবে দায়িত্ব নিতে দেওয়া হয়নি। কারন হিসাবে বলা হয়েছে, লিংডো কমিশনের রিপোর্ট মানা হয়নি। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন সেইহেতু নয়া ছাত্র সংসদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তির অপব্যবহার হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি জারি হলে খুলে দেওয়া হবে সংসদ রুম। অভিযোগ, আসল উদ্দেশ্য ছলে-বলে-কৌশলে যেভাবেই হোক নির্বাচিতদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা। আর তাই বুধবার সন্ধ্যায় সংসদ রুমে চাবি লাগাতে আসে নিরাপত্তারক্ষীরা। কিন্তু জমায়েত করা ছাত্রদের দেখে তাঁরা ফিরে যান।

সাম্প্রতিক ভোটে এসএফআই, এআইএসএফ,আইসা ও ডিএসএফ জোট ক্ষমতায় আসে। নব-নির্বাচিত ছাত্র সংসদের সভাপতি সাকেত মুন স্পষ্ট জানান, ঘর ছাড়ার প্রশ্নই নেই। আমাদের প্রতিরোধে ওরা ফিরে গিয়েছে। আমাদের অফিস বন্ধ করার অধিকার কর্তৃপক্ষের নেই। এটা কারওর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আট হাজার পড়ুয়ার প্রতিনিধিত্ব করি আমরা। তাদের প্রতিদিনের জরুরি কাজ থাকে। সেই কাজ করার অধিকার শুধু আমাদেরই। শক্তি প্রদর্শন করলে প্রতিরোধ করতেও আমরা জানি। এসএফআই জানিয়েছে, আসলে গেরুয়ার দল ভোটে হেরে আমাদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে চাইছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকুক ক্যাম্পাসে চাইছে না। এটা যে হবে না, তা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।

আরও পড়ুন-২৩শে শহরে নোবেলজয়ী দম্পতি

 

Previous article২৩শে শহরে নোবেলজয়ী দম্পতি
Next articleনাগরিকপঞ্জির সঙ্গে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই: নির্বাচন কমিশন