জামিনের পর আক্রমণে সন্ময়, গ্রেফতারির আত্মঘাতী নির্দেশ কার?

জামিন পেয়েই পুরুলিয়ার কংগ্রেস নেতাদের পাশে নিয়ে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করলেন। পুলিশি অত্যাচারের বর্ণনা দিলেন। কেঁদে ফেললেন। প্রচার পেলেন। সহানুভূতি পেলেন। লড়াইটা আরও বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন।

প্রশ্ন হল, সন্ময়কে গ্রেফতার করে এই বাড়তি মাইলেজ নেওয়ার সুবিধে করে দিল কোন্ রাজনৈতিক অপরিনামদর্শী? এটা কি পুলিশের সিদ্ধান্ত না দলের কারুর? সন্ময় সোশাল মিডিয়ায় ভুল বলে থাকলেও তার মোকাবিলায় বিকল্প পথ ছিল। কোন কারণে তাঁকে পুলিশি হয়রানিতে ফেলা হল?

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, সন্ময়ের উপর রাগ মেটাতে গিয়ে তাঁর সুবিধে করে দিল সরকারপক্ষ। এখন সন্ময় বিরোধী শিবিরে পরিচিত মুখ হয়ে গেলেন। তিনি যদি এটাকে সঠিক কৌশলে ব্যবহার করেন তাহলে দুদিনের পুলিশি হেপাজত অনেক বড়ভাবে সুদেআসলে তুলে নেবেন। অন্য সব মিডিয়াও সন্ময়ের কথা প্রচার করবে। স্রেফ পুলিশ লেলিয়ে দিতে গিয়ে এই আত্মঘাতী কাজ করেছে প্রশাসন। এই অনভিজ্ঞ, অপরিনামদর্শী কাজে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ল। লাভ হল সন্ময়ের। সন্ময় যদি ভুলও বলেন, তাঁকে মোকাবিলার উপযুক্ত নেতা বা বক্তা নামাতে পারছে না শাসকদল। তখন নিজেদের অক্ষম রাগ মেটাতে পুলিশকে নামাতে যাচ্ছে। তাতে আরও ক্ষতি। সন্ময় আপাতত এই পুলিশি নির্যাতন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার সবরকম পদক্ষেপ নেবেন। যা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করতে পারলে এই ইস্যুতে আরও প্যাঁচে পড়বে তৃণমূল। কথা উঠবেই, দুদিন পুলিশি হেপাজতে সন্ময়কে রেখে কী লাভ হল? তিনি তো বাড়তি প্রচার পাওয়ার মঞ্চ তৈরি করে নিলেন। এখানেই প্রশ্ন, প্রশাসনের তরফে এই মূর্খের মত সিদ্ধান্তটি কার?

আরও পড়ুন-নোবেলজয়ী অভিজিতকে সংবর্ধনা দেবে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল

 

Previous articleপরপর লজে রাতভর হানা, কী মিলল?
Next articleরানের পাহাড়ে ভারত, চাপে প্রোটিয়া শিবির