‘আমি রাজ্যের অধীনে নই’, জেলাশাসক না থাকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপালের বেনজির তোপ

রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ক্রমবর্ধমান। ক্রমশই ‘সিরিয়াস’ হয়ে উঠছে বিষয়টি।

মঙ্গলবার সকালে ধামাখালি ও সন্দেশখালিতে গিয়ে জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের গরহাজিরা দেখে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

‘অপমানিত’ হওয়ার অভিযোগ এনে তিনি বলেছেন, “আমি রাজ্য সরকারের অধীনে নই। আমার জেলা সফরের কথা গত 17 অক্টোবর জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছিলো। জেলাশাসক উত্তর দেন, রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে তিনি থাকবেন।” এর পরই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “এ সব কথা অসাংবিধানিক। রাজ্যপাল কখনই রাজ্য সরকারের অধীনে নয়।”

উত্তর 24 পরগণার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেই মর্মে রাজভবনের তরফে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়৷ একইসঙ্গে শাসক-বিরোধী সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে বৈঠকে অংশ নিতে আর্জি জানানো হয়৷ আজ ছিল সেই বৈঠক৷ কিন্তু, রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে অধিকাংশ সদস্যের উপস্থিতি না থাকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল৷
সংবাদমাধ্যমে তিনি সকালেই জানান, রাজ্যে সাংবিধানিক প্রধানের ডাকা বৈঠক তৃণমূল ও প্রশাসনের একাংশ কীভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন? রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে রাজ্যপাল জানান, ‘‘আমার সফরের কথা আগেই জানানো হয়েছিল৷ যেকোনও জায়গাতেই যেতে পারেন রাজ্যপাল৷ আমার সফরের আগে সবাইকে গত 17 অক্টোবর জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়৷ কিন্তু, 21 তারিখ একটি চিঠি দেন জেলাশাসক৷ জনপ্রতিনিধিদের ডাকতে গেলে রাজ্যের অনুমতি লাগবে৷ চিঠিতে জানান ডিএম৷ এতে আমি বিস্মিত৷’’

এর আগেও শিলিগুড়িতে ও একই ঘটনা ঘটেছিল৷ কিন্তু সেখানে শাসক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল৷ একই সঙ্গে পুলিশের প্রশাসনের গরহাজিরা নিয়েও তোলেন প্রশ্ন৷ ওই দিন উষ্মা প্রকাশ করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, এবার তিনি গোটা রাজ্যজুড়ে একই ধরনের প্রশাসনিক বৈঠক করবেন৷ এবার তারই পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির পর সুন্দরবন সফরে যান রাজ্যপাল৷

Previous articleরাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠক কার্যত ‘শূন্য’, ক্ষোভ উগরে দিলেন ধনকর
Next articleINX- মিডিয়ার CBI-মামলায় জামিন পেলেন চিদম্বরম