হরিয়ানায় ত্রিশঙ্কুর সম্ভাবনা, ‘কিং মেকার’ দুষ্মন্ত

দুই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ফলে কার্যত অস্বস্তিতে পদ্মশিবির। মহারাষ্ট্রে মুখরক্ষা হলেও, হরিয়ানায় মোটেই সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে ত্রিশঙ্কু হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর পালের হাওয়া যেদিকে, সেদিকেই যেতে চান বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন হরিয়ানায় সরকার গঠনের ‘কিং মেকার’ জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালা। মাত্র ১০ মাস আগে দল গড়ে যিনি এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ নাম।

৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি কোনও দলই। বিজেপি ৪০-এর আশপাশে। কংগ্রেস ৩০ এর কম বা বেশি। আর জেজেপি আসন সংখ্যা ১০-র পাশাপাশি।
এই পরিস্থিতিতে জননায়ক জনতা পার্টি-র প্রধান দুষ্মন্ত চৌতালা ঘনিষ্ট মহলে জানান, যে দল তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেবে, তাঁদেরই সমর্থন করবেন তিনি। অন্যদিকে সূত্রের খবর, চৌতালার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতারা যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন।
একটি বাদে প্রায় সব বুথ ফেরত সমীক্ষায় ইঙ্গিত ছিল হরিয়ানায় ক্ষমতায় ফিরছেন মনোহরলাল খট্টর। বিজেপির হয়ে হরিয়ানায় প্রচারে গিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উলটো দিকে কংগ্রেসের প্রচারে সেরকম জোর ছিল না। এমনকী, কথা থাকলেও একদিনও সেখানে প্রচারে যাননি কংগ্রেসের কার্যকরী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের হয়ে একাই হাল ধরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং।
বৃহস্পতিবার, ভোটের ফল বেরনোর পরেই দেখা যায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। আর সব সমীক্ষাকে নস্যাৎ করে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। এরপরেই হরিয়ানার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সন্ধেয় রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের প্রস্তাব দিতে চান মনোহরলাল খট্টর। তবে, রাজ্যপালে এখনও এই বিষয়ে কিছু জানাননি। এই পরিস্থিতিতে দুষ্মন্ত চৌতালা সহ নির্দলদের হাতেই থাকছে সরকার গড়ার চাবিকাঠি।

Previous article“ওনার চলে যাওয়া বড় ক্ষতি”, গুরুদাস দাশগুপ্তের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ রাজ্যপালের
Next articleভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় সৌদি আরবে আটক ২০ জন যুবক