প্রয়াত ‘গ্র্যান্ডপা কিচেন’-এর ‘শেফ’ ‘গ্র্যান্ডপা’

প্রয়াত ‘গ্র্যান্ডপা কিচেন’-এর ‘দাদু’। তেলাঙ্গানার ‘গ্র্যান্ডপা’ বিখ্যাত ছিলেন ইউটিউবে। তাঁর নিজস্ব একটি চ্যানেল ছিল সেখানে। সেই চ্যানেলে তাঁর সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ লক্ষ্য। ‘Loving. Caring. Sharing.’ এই তাঁর বাণী ছিল। বয়স সত্তর পেরিয়ে গেলেও মনের আনন্দে এই ‘শেফ’ ইউটিউবজুড়ে রাজত্ব করতেন। গত ২৭ অক্টোবর প্রয়াত হন তিনি। ইউটিউবে তাঁর চ্যানেলেই জানানো হয়েছে মৃত্যু সংবাদ।

‘গ্র্যান্ডপা’র নাম নারায়ণ রেড্ডি। বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। বয়সকে হার মানিয়ে সমস্ত নতুন ‘টেকনোলজি’কে দূরে সরিয়ে ‘গ্র্যান্ডপা’ খাঁটি দেশি পদ্ধতিতে রান্না করতেন একের পর এক উপাদেয় পদ। তিনি কোনো রান্নাঘরে রান্না করতেন না। তিনি রান্না করতেন খোলা মাঠে। সাধারণ স্টিলের থালা-বাটি-কড়াইয় ব্যবহার করতেন । গ্যাস বা স্টোভে নয়, কাঠকয়লা পুড়িয়ে। চামচ-কাটোরায় মেপে মেপে নয়, হাতের আন্দাজে। তিনি নিজেই কুটনো কুটতেন, নিজেই রাঁধতেন।

কী কী রেসিপি থাকতনা তাঁর কাছে। প্রায় সবই করতেন তিনি। যেমন চিকেন বিরিয়ানি, পিৎজা, বার্গার, চিকেন ললিপপ, ক্রিসপি পোট্যাটো ফিংগার সবই ছিল তাঁর রেসিপির মধ্যে। এমনকী ওরিও বা কিটক্যাট মিক্সড চকোলেট কেক ও রেড ভেলভেট কেকও বানিয়েছিলেন তিনি। তিনি রান্না করতেন শুধুমাত্র অনাথ শিশুদের খাওয়ানোর জন্য। ‘গ্র্যান্ডপা’র দৌলতে অনাথ শিশুদের মাঝে মধ্যেই জুটে যেত সুস্বাদু খাবার। পরে তেলাঙ্গানার কয়েকজন যুবক তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন। তৈরি হয় ‘গ্র্যান্ডপা’স কিচেন’। ২ বছরে তিনি প্রায় ২২০ রকম পদ রান্না করেছেন। তবে তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।

‘দাদু’ নেই বলে কোনও কিছুতেই খামতি রাখবেন না তাঁর সহকর্মীর, এমনই জানিয়েছেন তাঁরা। ‘গ্র্যান্ডপা’স কিচেন’ বন্ধ হবে না।

Previous articleসন্দেশখালিতে গুলিবিদ্ধ পুলিশ আধিকারিক সহ 4
Next articleমুখ্যমন্ত্রীই বলছেন দিল্লি গ্যাস চেম্বার! শুরু নানা নিষেধাজ্ঞা