আড়াই বছর অপেক্ষার অবসান, রাত পোহালেই কড়া নিরাপত্তায় প্রেসিডেন্সিতে ছাত্রভোট

রাত পোহালেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ছাত্র সংসদ নির্বাচন। আড়াই বছর আগে ঠিক যে নিয়মে ছাত্রভোট হয়ে এসেছে প্রেসিডেন্সিতে, সেই নিয়মেই আড়াই বছর পর ফের ছাত্রভোট।

যাদের অধীনে কোনও কলেজ নেই, এরকম চারটি বিশ্ববিদ্যালযয়ে ছাত্র ভোট করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সেই প্রেক্ষিতে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বৃহস্পতিবার ছাত্র ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রেসিডেন্সিতে।

দীর্ঘদিন পর এই ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অশান্তি বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সর্তক প্রশাসন। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিতে করতে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ থেকে শুরু করে গণনা পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা থাকবে প্রেসিডেন্সি চত্বরে। যাতে কোন বহিরাগত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য প্রত্যেককে পরিচয় পত্র দেখিয়ে ঢুকতে হবে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালযয়ের আশেপাশেও কড়া নজরদারি চালাবে পুলিশ। যত বহিরাগতরা সেখানে এসে জমায়েত করতে না পারে।

রাজ্যের বিজ্ঞপ্তির পরই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে, ১৫ নভেম্বর হবে তাদের ছাত্র ভোট। সেই দিনই সম্পন্ন হবে ভোট গণনা। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে কাউন্সিল তৈরি হবে। মনোনয়ন পত্র দাখিল হয়েছে অনলাইন প্রক্রিয়ায়। যারা ভোটের পার্থী হয়েছে সর্বশেষ সেমিস্টারে উপস্থিতির হার তাদের কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ। তা না হলে মনোনয়ন দাখিল করতে পারা যেত না।

এই ছাত্র সংসদের মেয়াদ থাকবে একবছর। কিন্তু সেন্টজেভিয়ার্সের মডেলে যে ছাত্র কাউন্সিলের বিধি রাজ্য সরকার চালু করেছিল, সেই বিধি মানা হচ্ছে না। ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শেষবারের মতো রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। এরপর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মতো অন্যান্য কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও অরাজনৈতিক ছাত্র সংসদ চালাবে। সেই থেকেই রাজ্য সরকার কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন করানোর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ছাত্র সংসদের নির্বাচন না করানোর ব্যাপারে কার্যত অনড়ই ছিল সরকার।

কিন্তু বিরোধী ছাত্র সংগঠন লগুলির দাবি মেনে, রাজ্য সরকার হঠাৎ বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানায়, ছাত্র পরিষদ বা ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যাই হোক তার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই বিজ্ঞপ্তির পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ঠিক হয়, ইউনিয়ন মডেলেই হবে ছাত্রভোট।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল প্যানেলের মাধ্যমে ভোট হবে। ইউনিয়ন মডেলেই ভোট হবে। মোট পাঁচটি পদের জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন হতে চলেছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

Previous articleঅযোধ্যা ট্রাস্ট বিল শীতকালীন অধিবেশনেই
Next articleবাংলার মানুষ NRC বিরোধী, SUCI-এর ডেপুটেশনের পর কেন্দ্রকে জানানোর আশ্বাস রাজ্যপালের