স্বাস্থ্যসচিব ঠিক বলছেন না, জানিয়ে হাল ধরতে হলো শেষে কিনা মুখ্যসচিবকে!

প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অপ্রস্তুতে পড়লেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব সঙ্ঘমিত্রা ঘোষ। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটি প্রশাসনিক বৈঠক সরকারি প্রতিনিধিদের বুঝিয়ে বলতে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলতে গিয়ে পদে-পদে ঠোক্কর খেলেন স্বাস্থ্যসচিব। শেষে হাল ধরতে হলো মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।

মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর প্রশাসনিক বৈঠক উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকারি কর্তারা। সেখানেই প্রথমে শিশুসাথী এবং পরে স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য সচিব জানান, কীভাবে এলাকার মানুষকে এই প্রকল্পে নিয়ে আসা হচ্ছে, কীভাবে প্রচার করা হচ্ছে। হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান এখানে যাঁরা উপস্থিত রয়েছেন তাঁরা কী জানেন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পটির বিষয়ে? হাত তুলতে বলেন তিনি। দেখা যায় মাত্র তিনজন হাত তুলেছেন। ক্ষুব্দ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই জেলায় কোনও কাজ হচ্ছে না। মানুষকে পরিষেবা দেব কি, আগে জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্তারা জানুন প্রকল্পটির বিষয়ে। স্বাস্থ্যসচিবকে বলেন, বুঝিয়ে বলুন স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প। এরপর তিনি যে তথ্য দিচ্ছিলেন তা মাঝেমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে অসন্তুষ্ট করছিল। বেগতিক বুঝে মুখ্যসচিব হাল ধরেন। বলেন, স্বাস্থ্যসচিব ঠিক বলছেন না। আমি বুঝিয়ে বলছি। স্বভাবতই প্রশাসনিক সভায় অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন স্বাস্থ্যসচিব সংঘমিত্রা ঘোষ। প্রকাশ্য সভায় এভাবে অপ্রস্তুত খুব কম আমলাই হয়েছেন।

এই ঘটনার স্মরণ করিয়ে দিল সদ্য নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অর্থনীতিবিদ নির্মলা বলেছিলেন, রাজ্য সরকার বেশকিছু কল্যাণমূলক প্রকল্প করছে অথচ তার যথাযথ প্রচার না হওয়ায় মানুষ উপকার পাচ্ছেন না, জানতেও পারছেন না। এ দিনের ঘটনা যেন নির্মলার সেই বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করল।

Previous articleনেতা থেকে অভিনেতা, এবার শিশুদের সঙ্গে মঞ্চ মাতাবেন মদন
Next articleদক্ষিণ দিনাজপুর: ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বললেন জেলার কাজ ভেরি পুওর