তরুণীর মৃতদেহকেও ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা!

হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সামনে এল আরও এক নির্মম সত্য। খুনের পরেও তাঁর উপর ধর্ষণ চালিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। পুলিশি জেরায় কবুল করেছে 4 দুষ্কৃতী। গ্রেফতারের পর থেকে দফায় দফায় চারজনকে জেরা করা হচ্ছে। সেখানে তারা কবুল করে তরুণীর আর্তনাদ বন্ধ করতে তাঁর মুখে মদ ঢেলে দেওয়া হয়। তারপরে মুখ চেপে ধরা হয়। দীর্ঘক্ষণ শ্বাস নিতে না পারাতেই দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু তাতেও থামেনি অত্যাচার। মৃতদেহকেও ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

তারপরে ট্রাকে চাপিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় কেনা হয় পেট্রোল। হায়দরাবাদের শামসাবাদ চাতানপল্লির কাছে কালভার্টের নিচে পশু চিকিৎসকের দেহ পুড়িয়ে দেয় জুল্লু নবীন, ট্রাক চালক মহম্মদ আরিফ, জুল্লু শিবা ও চিন্তাকুনটা চেন্নাকেশাভুলু।

এদিকে যে শাদনগর থানায় অভিযুক্তদের রাখা হয়েছিল, তার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। থানা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চালায় পুলিশ। এই ঘটনার পরে অভিযুক্তদের থানা থেকে সরিয়ে হায়দরাবাদ জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও। যদিও এই ঘটনার চারদিন পরে তিনি মুখ খোলায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বৃহস্পতিবার ঘটনা সামনে আসে। রবিবার, এ বিষয়ে মন্তব্য করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আগে শনিবার সন্ধেয় তিনি তাঁর মন্ত্রিসভার এক সদস্যের মেয়ের বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যান। সেখানে হাসিমুখে নব দম্পতির সঙ্গে ছবিও তোলেন। বিরোধীদের কটাক্ষ, এক তরুণীর মৃত্যু নিয়ে একটা শব্দ খরচ করার সময় নেই কেসিআরের। অথচ হাইপ্রোফাইল বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে তিনি যেতে পেরেছেন।

এদিকে এই ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সংসদ থেকে শুরু করে দেশজুড়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। ধৃতদের প্রকাশ্যে শাস্তিদানের নিদান দিয়েছেন সাংসদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

Previous articleঅন্য ছেলের সঙ্গে কথা বলায় প্রেমিকের হাতে চড় খেয়ে মারা গেলেন প্রেমিকা!
Next articleরাহুল বাজাজের পর কেন্দ্রকে এক হাত নিলেন এবার শিল্পপতি কিরণ