সংসদের ক্যান্টিনে আর 65 টাকায় মিলবে না বিরিয়ানি। কারণ, ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতদিন সংসদের ক্যান্টিনে মাখন-রুটি মিলত মাত্র ৬ টাকায়। চাপাটি ২ টাকা, ভাত ৭ টাকা, হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানি ৬৫ টাকা, চিকেন কারি ৫০ টাকা, ফিস কারি ৪০ টাকা, মাটন কারি ৪৫ টাকা, তন্দুরি চিকেন ৬০ টাকা, কফি ৫ টাকা, সাদা ধোসা ১২ টাকা, স্যুপ ১৪ টাকা। এখন থেকে বাজারদরেই খাবর কিনবেন সাংসদরা। নির্বাচনী কমিটির বৈঠকে ক্যান্টিন থেকে ভর্তুকি তোলার স্পিকার ওম বিড়লার প্রস্তাবে সব দলের সাংসদরাই সম্মতি জানিয়েছেন।
এই ভর্তুকি বাবদ সরকারের খরচ হত বছরে ১৭ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে জানা যায়, সাংসদদের খাবারে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। তা নিয়ে শোরগোল হয়েছিল। তারপরেই ‘না লাভ, না ক্ষতি’ ভিত্তিতে ক্যান্টিন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দাম কিছুটা বেড়েছিল। যখনই কেন্দ্রের তরফে কোনও বিষয়ে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তখনই আমজনতা প্রশ্ন তোলে সংসদে এত কম পয়সায় খাবার পান কী করে সাংসদরা? সেখানে তো ভর্তুকি ওঠে না? এবার থেকে সম্পূর্ণ ভর্তুকি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হল।