সেদিন কী ঘটেছিল? হাসপাতালের বেডে শুয়ে শোনালেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতা

৫ডিসেম্বর উন্নাওয়ের তরুণী সঙ্গে কী ঘটেছিল? নিজের মুখেই মৃত্যুশয্যায় শুনিয়েছেন সেকথা–
তখন ভোর চারটে। রায়বেরিলি যাওয়ার জন্য ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলাম। দুদিন আগে ওদের জামিন হয়েছে শুনেছিলাম। সেই রক্তাক্ত অত্যাচারের দিনের কথা এখনও দগেদগে ঘায়ের মতো। প্রতিজ্ঞা করেছিলাম কোর্টে দাঁড়িয়ে সব কথা বলতে হবে। রেল গেটের সামনে দেখলাম সেই পরিচিত কটা মুখ। চোখেমুখে প্রতিহিংসা। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি তাই আমার চিৎকারে কেউই এগিয়ে আসেনি। পাঁচজনের মধ্যে তিনজন অভিযুক্ত ছিল। আর সঙ্গে ওদের বাবারা। ঘিরে ফেলে আমাকে। হুমকি দিয়ে বলতে থাকে সাক্ষী দিতে যাওয়া চলবে না। কিন্তু আমি নাছোড় হওয়ায় আমার পায়ে সপাটে লাঠির বাড়ি মারে। ভেঙে যায়। তারপর বারবার। লাঠির ঘায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। এবার গলায় ছুরি বসিয়ে দিলো। যন্ত্রনায় ছটফট করছি। এমন সময় আমার গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিল। জ্বালা, যন্ত্রনায় আমি সেই অবস্থায় উঠে উন্মাদের মতো ছুটছি রাস্তা ধরে। একজনের মোবাইল চেয়ে পুলিশকে ফোন করলাম। পড়ে গেলাম। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করল।

মর্মান্তিক এই ঘটনার কথা দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানিয়েছেন উন্নাওয়ের গণধর্ষণের শিকার তরুণী। পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশি তদন্ত কত দ্রুত করা যায় তা জানতে পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।

Previous articleএনকাউন্টার নিয়ে বিরুদ্ধ মতের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কিছু কথা
Next articleখড়্গপুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মমতা