এ যেন রিয়াল ম্যাচের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’, ফের ম্যাচ ড্র ইস্টবেঙ্গলের

মিনার্ভা পাঞ্জাব- ১ (ড্যানিলো)
ইস্টবেঙ্গল- ১ (হুয়ান মেরা)

লুধিয়ানায় ইস্টবেঙ্গল বনাম মিনার্ভা পাঞ্জাব ম্যাচ ছিল কার্যত কল্যাণীতে ইস্টবেঙ্গল বনাম রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’। একটি হোম ম্যাচ এবং একটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে নেওয়ার পরেও জয় অধরা ইস্টবেঙ্গলের। পরপর দুটি ম্যাচই ড্র করল আলেসান্দ্রোর ছেলেরা।

কল্যাণীতে লাল-হলুদ ব্রিগেডের ত্রাতা ছিলেন মার্কোস গিমিনেজ। আর লুধিয়ানায় আলেসান্দ্রোর মুখ রক্ষা করলেন হুয়ান মেরা। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে শনিবার ইস্টবেঙ্গল। ক্লান্তি কিছুটা স্পষ্ট হলেও হার না মানার মানসিকতা ছিল কোলাডোদের। তবে শনিবাসরীয় এই ম্যাচের আগে অন্য আর একটি কারণে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল মশাল বাহিনী।

ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গল শিরোনামে আসে অন্য কারণে। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের চূড়ান্ত অপেশাদারিত্বের শিকার ফুটবলাররা। এর আগেও ইস্টবেঙ্গল পাঞ্জাবে খেলতে গিয়েছে। কিন্তু ফুটবলারদের কোনওদিন এরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে মনে করতে পারছেন না সমর্থকরা। এরকম পরিস্থিতিতে সব সময় ম্যাচের দু’দিন আগে পাঞ্জাব পৌঁছেছে ইস্টবেঙ্গল। দিল্লি থেকে সরাসরি বিমানে চণ্ডীগড়। কিন্তু এবার কোয়েস ইস্টবেঙ্গল দিল্লি থেকে লুধিয়ানা যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা রেখেছিল ট্রেনের। তা মিস করায় শেষে বাসে করে মাঝরাতে টিম হোটেলে পৌঁছন ফুটবলাররা। যা নিয়ে কোচ আলেসান্দ্রো থেকে ফুটবলার, প্রত্যেকেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এই অবস্থায় বিশ্রাম ছাড়াই পরেরদিন দুপুরে ম্যাচ খেলতে নামতে হচ্ছে তা এক কথায় অকল্পনীয়।

ক্লান্তির ছাপ নিয়েই শনিবার দুপুরে মাঠে নামে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে বেশ চনমনে দেখায় মিনার্ভা পাঞ্জাবকে। কারণ, আজকের ম্যাচ দিয়েই আই লিগ অভিযান শুরু করল মিনার্ভা। তাই খানিকটা বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গিয়েছিল মিনার্ভা ফুটবলারদের। তবে তাতেও জয় এল না।

এদিন ম্যাচের ১২ মিনিটে গোল পেয়ে যায় পাঞ্জাব। ড্যানিলো কুইপাপার গোলে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। তারপর ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত গোল শোধ করতে ব্যর্থ হন কোলাডোরা। কিন্তু যখন মনে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের হাত থেকে ম্যাচ কার্যত বেরিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই অচম্বিতে গোল হুয়ান মেরার। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের শট জালে জড়িয়ে যেতেই জেগে ওঠে ক্লান্ত ইস্টবেঙ্গল শিবির। গুরু নানক স্টেডিয়ামে জনা ২০-৩০ লাল-হলুদ সমর্থকের ধড়ে যেন প্রাণ এল। তারপর পাঞ্জাব তেড়েফুঁড়ে খেললেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। খেলা শেষ হয় ১-১ স্কোরে। ফলে দুই ম্যাচ শেষে এই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট 2। পরবর্তী ম্যাচে আলেসান্দ্রোর ছেলেরা জয় পায় কিনা, নাকি ড্রয়ের হ্যাটট্রিক করে, সেটাই দেখার।

Previous articleদু’শো বছরের হিন্দু স্কুলে এবার চালু হচ্ছে ইংরেজি-মাধ্যম
Next articleচা বাগানে ১২১ জোড়া হৃদয় বিনিময়