সূর্য থেকে বেরচ্ছে লক্ষ কোটি ‘সূচ’,দেখালেন হুগলির কৃষক-সন্তান তন্ময়

সূর্য থেকে বেরচ্ছে লক্ষ কোটি ‘সূচ’,দেখালেন হুগলির কৃষক-সন্তান তন্ময়। সূর্যের রহস্য,আর সূর্যের তাপ মাত্রা বেরে যাওয়া নিয়ে হাজারো জল্পনা,এই নিয়ে গোটা পৃথিবীর বিঞ্জানী আর মানুষের কৌতুহলের অবসান ঘটালেন হুগলীর আরামবাগ পুরশুড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার এক কৃষক সন্তান তন্ময় সামন্ত। সূর্যের তাপ মাত্রা বেরে যাওয়া নিয়ে আবিষ্কারে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

  • সূর্যের সূচ

তন্ময় সামন্ত। আরামবাগের কাছে হুগলির পশ্চিমপাড়ার কৃষক সন্তান তিনি। সূর্যের রহস্যময় এক ধরনের ‘সূচ’-এর কথাও বলেছেন তিনি। যার নাম- ‘স্পিকিউল্‌স’। প্রচণ্ড গতিবেগে যে সূচগুলি সূর্যের পিঠের কিছুটা উপর থেকে বেরিয়ে হুশ্‌ করে উপরে উঠে গিয়ে সূর্যের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা একলাফে কয়েক লক্ষ গুণ বাড়িয়ে দেয়। তার বায়ুমণ্ডলকে করে তোলে ভয়ঙ্কর। গবেষণাপত্রটি বেরিয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এর নভেম্বরের সংখ্যায়।

  • সূচ কত ক্ষমতাশালী হতে পারে!

সূর্যের এই সূচগুলির একেবারে অন্দরে যেখানে পরমাণু চুল্লিটা আছে, সেখানকার তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি কেলভিন। সেখান থেকে সূর্যের পিঠ বা ফোটোস্ফিয়ারের দূরত্বটা ৭ লক্ষ কিলোমিটার। যেখানকার তাপমাত্রা ৫ হাজার ৭০০ থেকে ৬ হাজার ডিগ্রি কেলভিন।
কিন্তু এরপরেই পিঠ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার উপরে থাকা তার বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নীচের স্তরটি ১০ হাজার বা তারও কিছু বেশি ডিগ্রি কেলভিন তাপমাত্রায়। ওই স্তরের নাম ‘ক্রোমোস্ফিয়ার’। ক্রোমোস্ফিয়ার থেকে শুরু সূর্যের বায়ুমণ্ডল। ফোটোস্ফিয়ার থেকে যার শেষ প্রান্তটার দূরত্ব প্রায় ৭০ লক্ষ কিলোমিটার।

  • সূর্যের ‘সূচ’ গবেষণার অভিনবত্ব কোথায়?

বিশিষ্ট সৌরপদার্থবিজ্ঞানী, মোহনপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার-কলকাতা)-এর অধ্যাপক দিব্যেন্দু নন্দী বলছেন, “তন্ময়ের আগে এটা আর কেউ দেখাতে পারেননি। ২০১১-য় একটা পেপারে অবশ্য ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, করোনার তাপমাত্রা একলাফে অতটা বাড়ানোয় ভূমিকা থাকতে পারে সূচগুলির। কিন্তু তা চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়নি।”

বর্তমানে চিনের বেজিং শহরে সোলার ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা করছেন পিকিং ইউনিভারসিটি চিন সরকারের অধীনে। তন্ময় কিছু দিনের জন্য ফিরেছেন নিজের গ্রামের বাড়ি পশ্চিমপাড়ায়। দুদিন পরেই আমেরিকায় পারি দেবে তন্ময়। স্বপ্নের উরানে ডাক এসে গেছে আমেরিকায়। আমেরিকার জন হপকিংন্স্-এ গবেষণা করবেন। পরে নাসায় গবেষণা করার সুযোগ পেতে চলেছেন হুগলির আরামবাগ পুরশুরা এলাকার পশ্চিমপাড়ার তন্ময়। একমাত্র ছেলের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তন্ময়ের বাবা অশোক সামন্ত,মা মিনক্ষী সামন্ত। পড়াশুনায় ছেলে প্রথম থেকেই মেধাবি ছিল বলে জানান তন্ময়ের বাবা মা। তন্ময় বলেন,’অনেকটাই সিক্রেট বিষয় এটা। এখনও গবেষণা চলবে। ভারতবর্ষে এই নিয়ে ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই।’

Previous articleবাংলায় ব্যবসার সুলুক সন্ধান দিতে শুরু হচ্ছে বিজনেস কনক্লেভ
Next articleনির্ভয়া-দোষীদের ফাঁসি হতে পারে ১৬ ডিসেম্বর ! পবন ফাঁসুড়ে, মহাদেব মল্লিক তৈরি, জল্পনা তুঙ্গে