কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে জ্বলল একের পর এক বাস, নাকাল যাত্রীরা

সিএএ এবং এনআরসি-র প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। শুক্রবার বিকেল থেকেই উলুবেড়িয়া বেলডাঙা সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ, স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। রাস্তায় বেরিয়ে চরম নাকাল হন যাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে শান্তি বজায় রেখে গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান। কিন্তু শনিবার, সকাল থেকে ফের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন বিক্ষোভকারীরা। হাওড়ার কোণা এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয়। শুধু তাই নয়, বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে পরপর ১৫টি বাস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকালে সাঁকরাইল স্টেশন সহ হাওড়ার বেশ কয়েকটি স্টেশনে ভাঙচুর চালান আন্দোলনকারীরা। কিন্তু এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন পথচলতি মানুষ। বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ করে পথের মাঝখানে বাস থেকে নেমে যেতে হয়েছে তাঁদের। গন্তব্যে কীভাবে পৌঁছবেন, তার কোনও দিশা নেই। কোণা এক্সপ্রেসওয়েতে আন্দোলনের জেরে হাওড়া শহরের মধ্যে দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এর জেরে সংকীর্ণ রাস্তায় প্রচুর গাড়ি ঢুকে পড়ায় যানজট দেখা দিয়েছে। একই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গাযতেও। সেখানেও বিক্ষোভকারীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করার জেরে গাড়ির অভিমুখ ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে। ফলে রাস্তার যানজটে নাকাল হচ্ছেন যাত্রীরা।

মুর্শিদাবাদের নিমতিতা, সুতি সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বাসে ভাঙচুর চলে। এমনকী, পরীক্ষার্থীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পথচারীরা প্রশ্ন তুলেছেন সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে কিন্তু তার জন্য রাজ্যবাসীকে নাকাল করার কারণ কী?

আরও পড়ুন-“নো এনআরসি, নো সিএএ”, হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা

 

Previous articleদেশী এমপিদের বিদেশ জয়
Next articleমানুষের ভোগান্তি বরদাস্ত নয়: মুখ্যমন্ত্রী