ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেবে সেনেট

অভিযোগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ এবং মার্কিন কংগ্রেসের কাজে বাধা সৃষ্টি। সেই কারণেই আমেরিকার ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচ করার সিদ্ধান্ত নিল হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধেও একইভাবে ইমপিচমেন্টের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তাঁর মতো ট্রাম্পও সম্ভবত গতি হারাবেন না। কারণ এই সিদ্ধান্ত উচ্চকক্ষ সিনেটে যাবে। যেখানে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে কালকেই ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে এমন নয়। সেনেটের ফলের জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। যদি সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৭জন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেন, তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতেই হবে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি। প্রথমটি, আগামী নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিয়েছিলেন। সেই মামলা চললে বাইডেনের ভোটে লড়া সম্ভব হতো না। ফলে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করে এই প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে ট্রাম্প হেরেছেন ২৩০-১৯৭ ভোটে।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ মার্কিন কংগ্রেসে তাঁর বিরুদ্ধে চলা তদন্তে বাধা দিয়েছেন, যা দেশের আইন অনুযায়ী গুরুতর অপরাধ। সেই প্রস্তাবেও ট্রাম্প হেরেছেন ২২৯-১৯৮ ভোটে। নিয়ম অনুযায়ী হাউসে কোনও প্রস্তাবের পক্ষে ২১৬টি ভোট পড়লেই তা পাশ হয়ে যায়। ট্যুইটে ঝড় তোলা ট্রাম্প অবশ্য এই অভিযোগকে মিথ্যা এবং ফাঁসানোর চেষ্টা বলেছেন।

Previous articleউত্তরবঙ্গে “কোল্ড ডে”, দক্ষিণে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা
Next article৮.৩৯ ফুট উচ্চতায় লাফিয়ে অবিশ্বাস্য গোল, সি আর সেভেনে মজে দুনিয়া