ঝাড়খণ্ডে হারের জন্য রঘুবর দাসকেই দুষছে গোটা গেরুয়া শিবির

ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। ভোট গণনার বিকেলের ট্রেন্ড বলছে ওই রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানেই থাকছে বিজেপি। ওদিকে ইতিমধ্যেই 41-এর ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-JMM-RJD জোট। সরকার গড়ার আর কোনও সম্ভাবনা নেই বুঝেই সোমবার বিকেলে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস৷ তিনি বলেছেন, “মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছে বিজেপি।” ঝাড়খন্ডের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, সে রাজ্যে কোনো মুখ্যমন্ত্রী পরপর দুবার সরকার গড়তে পারেন নি। এবারও সম্ভবত এর অন্যথা হচ্ছে না৷

অবশ্য এদিন সকালের দিকে রঘুবর দাস বলেছিলেন, “আমি আশাবাদী ফল আমাদের দিকেই যাবে।চূড়ান্ত গণনা অবধি আমরা অপেক্ষা করবো। তিনি যোগ করেছিলেন, কয়েকটি আসনে মেরুকরণ হয়েছে। কিছু আসনে প্রতিষ্ঠান- বিরোধিতা রয়েছে। কিন্তু আমরা নিশ্চিত চূড়ান্ত ফল বেরোলে আমরাই সরকার গড়বো। আমরা সে বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী। একই কথা শোনা গেছিলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডার গলায় ভোটার চূড়ান্ত ফল দেখে শরিক নির্বাচন করবে দল, জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ বেলার গণনায় সেই আশাও ক্ষীণ হলো হলো বলে মত পর্যবেক্ষকদের।

এদিকে ঝাড়খণ্ডে এই হারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসকেই দুষছে গোটা গেরুয়া শিবির। বিজেপি’র অভিযোগ, রঘুবর দাসের দম্ভ, অর্জুন মুন্ডার মতো আদিবাসী বরিষ্ঠ মুখকে একঘরে করে দেওয়া, বিজেপি শরিক আজসু নেতা সুদেশ মাহাতোকে
অবজ্ঞা করার মাশুলই দিতে হলো বিজেপিকে৷
এই সবই ভোটে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। রঘুবর দাসের খামখেয়ালি আচরণেই জোট হিসেবে লড়তে পারেনি রাজ্য বিজেপি৷ প্রশাসন পরিচালনায় তাঁর অদক্ষতাও সমালোচনার মুখে পড়েছে। দলের ছোট-বড় কোনো নেতার সঙ্গেই সদ্ভাব ছিল না রঘুবর দাসের। ভোট প্রস্তুতিতে তার প্রভাব পড়েছিল বলেই এখন মনে করছে বিজেপি৷

রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। এবছর অক্টোবরে একপ্রস্থ শরিকি বিবাদের পর বিজেপির হাত ছেড়ে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও NCP-র সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে শিব সেনা। এই মুহুর্তে CAA নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ৷ তার মাঝেই ঝাড়খন্ডে বিরোধীদের এই জয় তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ৷

Previous articleঝাড়খণ্ডের ফল-পরবর্তী প্রশ্ন, বিজেপি কি এখন স্লগ-ওভারে ব্যাট করছে ?
Next articleসংবিধান পাঠ করে কংগ্রেসের নীরব প্রতিবাদ রাজঘাটে