লোকসভায় বিপুল জয়ের পরপরই একের পর এক বিধানসভা ভোটে লজ্জার হার। হরিয়ানায় জোড়াতালি দিয়ে জোট সরকার তৈরি হলেও বিরাট ধাক্কা এসেছে মহারাষ্ট্রে।
হাতছাড়া হয়েছে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র বলে পরিচিত এই রাজ্য। সর্বশেষ আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে ভরাডুবির জেরে বিজেপির আত্মবিশ্বাস তলানিতে। সামনের বছরই দিল্লির ভোট। আর এখন থেকেই তা নিয়ে প্রবল চাপে গেরুয়া শিবির। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ একাই জিতেছিল ৬৭ টি আসন। দিল্লিতে সম্মানরক্ষার লড়াই এবারও বিজেপির সামনে একেবারেই সহজ নয়। লোকসভার জৌলুস পরের পর হারে এই মুহূর্তে অনেকটাই ফিকে। সভাপতি অমিত শাহ প্রকাশ্যে যাই বলুন না কেন, এবারও দিল্লি জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত নয় বিজেপি। এর উপর সিএএ-এনআরসিজনিত পরিস্থিতির ফায়দা তোলা যাবে কিনা সেটাও বড় প্রশ্ন। তার উপর আবার আপের পরামর্শদাতা হিসাবে সদ্য নিযুক্ত হয়েছেন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর।
গত পাঁচ বছরে কেজরিওয়ালের কাজে নিম্নবিত্তদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সঙ্গে সুবিধা পেয়েছে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তরাও। নিখরচায় পানীয় জল, মহল্লা ক্লিনিক, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, সরকারি বাসে মহিলাদের ভাড়া মকুব ইত্যাদি জনমোহিনী সিদ্ধান্তে উপকৃত বড় অংশের মানুষ। এর উপর যদি বিজেপিকে আটকাতে আপ-কংগ্রেস জোট হয় তাহলে দিল্লিতে এবারও খালি হাতে ফিরতে হতে পারে বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রচারের অভিমুখ কোন দিকে থাকে তা নিয়েই এখন কৌতূহল।
আরও পড়ুন-এনপিআর-এ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্মতি