জনস্রোতে ভেসে মুখ্যমন্ত্রী : বিজেপিকে একঘরে দিন

বাংলার-ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত থেকে নাগরিক আইন বিরোধী পদযাত্রা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার ভিক্টোরিয়া মোড় থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সীমন্ত থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বললেন এই লড়াইয়ে আসলে নাগরিক আইন রক্ষার লড়াই, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, মাথার ওপর ছাদ রক্ষার লড়াই। বিজেপির কোনও অধিকার নেই এই অধিকার কেড়ে নেওয়ার। একটা মানুষকে দেশ থেকে তাড়াতে দেবো না। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, মাথায় রাখবেন, কেন্দ্র আইন তৈরি করে কিন্তু তা ইমপ্লিমেন্ট করে রাজ্যগুলো। রাজ্যগুলো যদি না চায় তাহলে কোনও আইনে লাভ হবে না। তাই বলছি, জোট বাঁধুন, আওয়াজ তুলুন, বাতিল করুন। বিজেপিকে একা করে দিন।

ইতিমধ্যে নাগরিক আইন বিরোধী চারটি মহা মিছিল কলকাতার বুকে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার সেই আন্দোলন জেলায় ছড়িয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্য অবশ্যই জঙ্গলমহল, উপলক্ষ্য নাগরিকত্ব আইন। জঙ্গলমহলে দলের খারাপ ফলের দিকে নজর রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। সেই জায়গাটাকে চাঙ্গা করার অন্যতম হাতিয়ার করলেন নাগরিক আইন বিরোধী মিছিলকে। গতকালই পুরুলিয়া সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে হেমন্ত সোরেনের শপথে গিয়ে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠকও সেরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকেই ফলপ্রসূ করার জন্য তিনি আন্দোলনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। এদিন মিছিল শুরু আগে ফের কেন্দ্রকে এক হাত নিয়ে বলেন, ওরা বলছে পড়ুয়ারা কেন রাজনীতি করবে, আন্দোলন করবে? অদ্ভুত কথা! ১৮ বছরের ছেলে-মেয়েদের ভোটদানের অধিকার রয়েছে আর অধিকার নেই আন্দোলন করার! এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, একটা মানুষের গায়েও ছোঁয়া লাগতে দেবো না বিজেপির দেশ বিরোধী আইনের। রাজ্যের আদিবাসীদের নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী আসলে সুকৌশলে দলের নেতিবাচক দিকগুলোকেও মেরামত করার চেষ্টা করলেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতা এখন ‘খতরে মে’। কিন্তু মানুষ স্বাধীনতাও রক্ষা করবে, দেশ বিরোধী আইনকেও পরিত্যাগ করবে। এদিন মিছিল পুরুলিয়ার শহরের ভেতর দিয়ে প্রায় ৬কিলোমিটার ঘুরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। ছিলেন তিন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, মলয় ঘটক, এবং শান্তিরাম মাহাতো।

আরও পড়ুন-মেরুকরণের চেষ্টা রুখতে কাল হায়দরাবাদে বৈঠকে বসছে একাধিক মুসলিম সংগঠন

 

Previous articleবর্ষশেষে কনকনে ঠান্ডা, বছরের শুরুতে বৃষ্টির পূর্বাভাস
Next articleব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে বোমা, কারণ কী?