এবার ‘নাগরিক দিবস’ হিসেবে জন্মদিন পালন করবে তৃণমূল

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের ধারাবাহিক আন্দোলনের সঙ্গেই এবার যুক্ত করা হলো দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে৷

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি রাজ্য জুড়ে ‘নাগরিক দিবস’ পালিত হবে। তাই এবার প্রতিষ্ঠা দিবসের রুটিন কর্মসূচির সঙ্গে CAA বা নাগরিকত্ব আইন এবং NRC বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বিরোধী প্রচারকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ৷

আসন্ন ২০২০ সালের প্রথম দিন, ইংরেজি নববর্ষেই তৃণমূল ২১ বছর পূর্ণ করবে। প্রতি বছরই এই দিনটিকে তৃণমূল প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করে। ওইদিন ব্লক বা জেলাস্তরে পতাকা উত্তোলনের পাশাপাশি রক্তদান, শীতবস্ত্রদান বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে তৃণমূল। ২০১৯–এ যেহেতু লোকসভা ভোট ছিলো, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে ব্রিগেডের প্রচারের কাজে লাগিয়েছিল তৃণমূল৷ কারন, ২০১৯-এর ১৯ জানুয়ারি তৃণমূল ব্রিগেডে জনসভার ডাক দিয়েছিল। তৃণমূল ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে ‘আমরা নাগরিক’, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দফায় দফায় পদযাত্রা করছেন মমতা। দলের নেতা- জনপ্রতিনিধিরাও আন্দোলনের মধ্যে আছেন৷ প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় একদিনের গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

এবার তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে অন্যান্য কর্মসূচির সঙ্গে ‘নাগরিক দিবস’-ও পালন করা হবে। নাগরিক দিবসে তৃণমূলের প্রধান উদ্দেশ্য হল, রাজ্যবাসীর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর অভয়বাণী পৌঁছে দেওয়া, যে বার্তায় সুপ্রিমো বলেছেন, এ রাজ্যে একজনেরও নাগরিকত্ব যাবেনা৷ নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপির বিপজ্জনক উদ্যোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তোলাই হবে তৃণমূলের এবারের প্রতিষ্ঠা দিবসের প্রধান কর্মসূচি।

আরও পড়ুন-রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৯কোটি, সরকারি কর্মী মাত্র সোয়া ৩ লক্ষ

 

Previous articleরাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ৯কোটি, সরকারি কর্মী মাত্র সোয়া ৩ লক্ষ
Next articleসিপিএম রাজ্য কমিটিতে রদবদল নিশ্চিত,তরুণ নেতারা ঠাঁই পাচ্ছেন বয়স্কদের সরিয়ে