কলকাতা পুরভোটে বেনজির চমক তৃণমূলের প্রচারে, কণাদ দাশগুপ্তের কলম

কলকাতার পুরভোটের প্রচারে অভিনবত্ব আনছে তৃণমূল৷ বেনজির এই প্রচার পরিকল্পনা ৷

কিছুদিন আগে হয়ে যাওয়া তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের এ ধরনের প্রচারে একশো শতাংশ সাফল্য মিলেছে৷ সেই পদ্ধতিই এবার ফেরানো হচ্ছে কলকাতা পুরভোটে৷ ভোট-বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোর সূত্রের খবর, তিন উপনির্বাচনে সাফল্য এনে দেওয়া প্রচার-কৌশলকে এবার পুরভোটে, বিশেষত কলকাতার পুরভোটের প্রচারেও ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে৷

কী সেই প্রচার-কৌশল?

কলকাতা পুরসভার ভোটে ওয়ার্ড অথবা বরো-ভিত্তিক আলাদা আলাদা ইস্তাহারের কথা ভাবা হয়েছে৷ এক ওয়ার্ডের সঙ্গে অন্য ওয়ার্ডের সমস্যা বা তার সমাধান সাধারনভাবে এক হয়না৷ অথচ প্রকাশ করা হয় একটিই ইস্তাহার৷
স্থানাভাবে সব ক’টি ওয়ার্ডের নিজস্ব সমস্যা এবং সেই সব ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা সমাধানে তৃণমূলের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা কার্যত অসম্ভব৷ অথচ তৃণমূল পুরবোর্ড আন্তরিকতার সঙ্গেই সেই সব কাজ করে চলেছে৷ কিন্তু তা প্রচারের আলোয় আসছে না৷

এ কারনেই প্রশান্ত কিশোরের সিদ্ধান্ত, কলকাতার পুরভোটে ওয়ার্ড-ভিত্তিক ইস্তাহার তৈরি হবে৷ সেই ইস্তাহারে ওই ওয়ার্ডের নিজস্ব সমস্যা এবং সেই সমস্যা সমাধানে তৃণমূল পুরবোর্ড কী কী করেছে, তৃণমূলপ্রার্থী জয়ী হলে বাকি কী কীকাজ করবেন, সে সবই তুলে ধরা হবে৷ এর ফলে নির্দিষ্ট এক একটি ওয়ার্ডের বাসিন্দরা জানতে ও বুঝতে পারবেন, তাদের এলাকার উন্নয়নের জন্য তৃণমূল কী করতে চাইছে৷ এর ফলে তৃণমূলের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের এক ধরনের নৈকট্যও তৈরি হবে৷

পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে এভাবে ওয়ার্ড-ভিত্তিক প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য, সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরকেও প্রতিশ্রুতি পালনে পরবর্তী ৫ বছর দায়বদ্ধ রাখা যাবে৷ যে সব ওয়ার্ডের সমস্যা তুলনায় কম, সেই ওয়ার্ডগুলি পাশাপাশি হলে, একাধিক ওয়ার্ডকে নিয়ে একটি ইস্তাহারও করা যেতে পারে৷ তবে এ ধরনের মিলিত ইস্তাহার বেশি হবে না বলেই ধারনা করছে তৃণমূল তথা পিকে৷

ওয়ার্ড-ভিত্তিক আলাদা ইস্তাহারের পাশাপাশি কলকাতা শহরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং প্রস্তাবিত আধুনিক পরিষেবার উল্লেখ করে বিশেষ এক ইস্তাহারও তৈরি হবে৷ এই শহরকে কেমনভাবে সাজানো হয়েছে,নাগরিক পরিষেবার মান কতখানি উন্নত হয়েছে, তাও বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে৷

ওদিকে আগামী ১২ জানুয়ারির মধ্যে ‘দিদিকে বলো’র চলতি কর্মসূচির বকেয়া ‘হোমটাস্ক’ শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে কলকাতার বিধায়কদের। নতুন বছরে তৃণমূলের জনসংযোগ প্রক্রিয়ায় আরও অভিনবত্ব এবং চমক আসতে চলেছে৷ এই চমক আনা হচ্ছে মূলত ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতেই।

আরও পড়ুন-দফতর পছন্দ না হওয়ায় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনা বিধায়কের

Previous articleদফতর পছন্দ না হওয়ায় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা শিবসেনা বিধায়কের
Next articleবিজয়ন প্রেমপত্র নয়, CAA বিরোধী প্রস্তাব পাশের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন: সেলিম