৪০টি শিশু জন্মেছে, ঘটেনি কোনও দুর্ঘটনা, গঙ্গাসাগর নিয়ে গর্বিত মুখ্যমন্ত্রী

বছর কয়েক আগেও বাংলায় একটা প্রবাদের খুব প্রচলিত ছিল। “সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার”। কারণ হিসেবে বলা হতো, গঙ্গাসগর খুব দুর্গম। যাতায়াত থেকে শুরু করে থাকা-খাওয়া কিংবা নিরাপত্তা, সবকিছুই ছিল প্রতিকূল।

কিন্তু সময় বদলেছে। বদলে গিয়েছে গঙ্গাসাগর। বদলিয়েছে সেই প্রবাদও। তাই তো গর্ভবতীরাও এখন নিশ্চিন্তে, নির্ভয়ে পুণ্যস্নান করতে আসেন সাগরসঙ্গমে। মানুষ বলছে ঠিক উল্টো কথা, “সব তীর্থ একবার, গঙ্গাসাগর বারবার।” প্রশাসনিক তৎপরতায় এখন সেই মুড়িগঙ্গার দুর্ঘটনাও নেই, নেই পদপিষ্ট হওয়ার খবর। যদিও রাজ্য সরকারের তরফে তীর্থযাত্রীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দুর্ঘটনা বীমা ঘোষণা করা হয়েছিল। তীর্থকর মকুব করা হয়েছিল। একাধিক সরকারি বাসে তীর্থযাত্রীদের পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সাগরসঙ্গমে। তার আগে বাবুঘাট বিশাল বিশাল তাঁবু খাটিয়ে সম্পূর্ণ নিখরচায় থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।

নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আকাশে যেমন ড্রোন উড়েছে, একইভাবে কলকাতা পুলিশকেও কাজে লাগানো হয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে রেকর্ড ভিড়ের গঙ্গাসাগর সাফল্য নিয়ে গর্ব করতেই পারেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার রানি রাসমণি রোডে ধর্ণা মঞ্চ থেকে গঙ্গাসাগর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় একটা বিশাল গঙ্গাসাগর মেলা হয়ে গেল। একটাও দুর্ঘটনার খবর নেই। আর কোনও রাজ্য নেই যারা এভাবে আয়োজন করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “খুবই আনন্দের ব্যাপার, এবার গঙ্গাসাগরে ৪০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এবং মা’দের সঙ্গে সুস্থ অবস্থায় শিশুরাও বাড়ি ফিরেছে।”

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে একহাত নিয়ে বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগরে আসেন মানুষ। এতবড় ব্যবস্থাপনা। এতো বড় কর্মযজ্ঞ। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার একটা টাকাও আমাদের সাহায্য করেনি।”

Previous articleআপের প্রতিষ্ঠাতা কুমার বিশ্বাস কি এবার বিজেপির প্রার্থী?
Next articleবাংলার ফুটবলে রেড লেটার ডে, আরপিজির হাত ধরে মোহনবাগানের নতুন যুগের সূচনা