বহিষ্কৃত ভোট-কুশলী পিকে

বহিষ্কৃত পিকে। মানে তৃণমূলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। না, তৃণমূলের দায়িত্ব থেকে নয়, তিনি যে দলের নেতা ছিলেন, সেই নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হল। অভিযোগ সেই দলবিরোধী কাজ। একইসঙ্গে দলের আরও এক হেভিওয়েট নেতা পবণ ভার্মাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রশ্ন জনান্তিকে, পিকে আসলে এটাই চাইছিলেন। এবার কী তিনি সরকারিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন? অপেক্ষা তারই।

সম্প্রতি পিকের এবং বার্মার সঙ্গে সিএএ-এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমারের সঙ্গে মতবিরোধ হয়। মূলত সিএএ নিয়ে রাজনৈতিক অবস্থান পরিস্কার করা নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়। সেই জট কাটলেও মঙ্গলবার ট্যুইট করে প্রশান্ত কিশোর দলের সুপ্রিমোকে বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন। নীতীশ কুমার বলেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর দলে অপরিহার্য নয়। তিনি দলে থাকবেন কি না থাকবেন তাঁর সিদ্ধান্ত। নীতীশের এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “মিথ্যে বলতে গিয়ে অনেকটাই নীচে নেমে গেছে নীতীশ কুমার। আমি কীভাবে জেডিইউ-তে যোগ দিলাম, তা বলার জন্য এতটা মিথ্যে! মনে রাখবেন, খুব কাঁচা চাল দিয়ে ফেলেছেন। প্রকাশ্যে নীতীশ-পিকে মতবিরোধ প্রকাশ্যে আসার পরই অস্বস্তিতে পড়ে দল। নীতীশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন পিকে। নীতীশ প্রথম দিকে ঢোঁক গিললেও, এবারে একে বারে দল থেকেই পিকে-কে ছেঁটে ফেললেন।

Previous articleহ্যামিল্টনে হ্যামলিনের বাঁশি রোহিতের, টাই, সুপার ওভার, সিরিজ
Next articleরাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ২ হাজার কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর