নেপালে হোম-স্টে কংগ্রেসের আয়োজন

পাহাড়ের টানে প্রায়ই বেরিয়ে পড়েন অনেকে। দার্জিলিং হোক বা কাশ্মীর- পাহাড়ের মাদকতা যেন সব কিছুর উর্ধ্বে। তবে পাহাড়ে গিয়ে হোটেলের ঘর ভাড়ার করার দিন ফুরিয়েছে। পাহাড়ের কোলে গ্রামগুলিতে চাহিদা বেড়েছে হোম স্টে-র। পরম আতিথেয়তায় হোম স্টে-র মালিকরা আপন করে নেন পর্যটকদের। এই হোম-স্টের মালিকদের নিয়েই এবার হোম-স্টে কংগ্রেসের আয়োজন হচ্ছে নেপালে।

৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠ এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যাল। চলবে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ফেস্টিভ্যাল চলাকালীনই ১০ ফেব্রুয়ারি ভারত, নেপাল ও ভূটান, এই তিন দেশকে নিয়ে হোম-স্টে কংগ্রেসের আয়োজন করা হচ্ছে। এই কংগ্রেস পর্যটন শিল্পে একটি বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে সংগঠকরা। বহুদিন ধরেই ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশকে নিয়ে পর্যটনের একটি সার্কিট গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পর্যটন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের সভাপতি অর্জুন কার্কি জানান, পর্যটনকে মাথায় রেখে ‌তিন দেশের মধ্যে বৃহত্তম সহযোগিতার ক্ষেত্র গড়ে তোলাই তাঁদের লক্ষ্য। সংগঠকরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভারতে হোম-স্টের সংখ্যা তিন হাজার, নেপালে এই সংখ্যা ছ’শো। ভূটানেও তৈরি হয়েছে একাধিক হোম-স্টে। যাঁরা হোম-স্টে চালান তাঁরাই আখেরে লাভবান হবেন এই কংগ্রেসের ফলে।
অ্যাসোসিয়েশন অফ কনজার্ভেশন অফ ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু কথায়, নেপালে হোম-স্টে র ব্যবসা হয় কমিউনিটি ভিত্তিতে। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি এলাকায় একটির পর একটি হোম-স্টে করা হয়। এতে গ্রামীণ অর্থনীতির ওপরেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।‌ এশিয়ান রুরাল ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনে উপস্থিত থাকবেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পিএস গোলে। রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকেও উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানাবেন উদ্যোক্তারা।‌

Previous articleওয়েব সিরিজ ‘ফেলুদা ফেরত’ সবথেকে বেশি উপভোগ করেছেন স্বয়ং পরিচালক
Next articleজেল থেকে মুক্তি পেলেন ছত্রধর মাহাতো, নেপথ্য কারণ জানেন?