অত্যাধুনিক ফুটবল মাঠ উপহার দিয়ে জয়নগরের হৃদয় জয় করলেন কুণাল

তাঁর সাংসদ তহবিলের অর্থে রাজ্যের শতাধিক স্কুলের উন্নয়ন হয়েছে। এবার খেলাধুলার উন্নয়নে নজির গড়লেন তিনি। তাঁর তহবিল থেকে অত্যাধুনিক একটি ফুটবল মাঠের উদ্বোধন হলো। হ্যাঁ, রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের ৬৫ লক্ষ টাকায় এবার জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ইন্দিরা উদ্যান নবরূপে প্রতিষ্ঠিত হলো। যা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সেরা ফুটবল মাঠ বলেই মনে করছে ক্রীড়ামহল। মখমলের মতো সবুজ গালিচা, উন্নতমানের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, আধুনিক ড্রেসিং রুমে থেকে শুরু করে মাল্টিজিম, সবকিছুই হয়েছে কুণাল ঘোষের সাংসদ তহবিলের টাকায়। ইতিমধ্যেই এই মাঠের দিকে নজর পড়েছে আইএফএ কর্তাদের।

শনিবার জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ইন্দিরা উদ্যানের নতুন ফুটবল মাঠের উদ্বোধনে এসে কুণাল ঘোষ বলেন, “আমার সাংসদ তহবিলের অর্থে শতাধিক স্কুলের উন্নয়ন হয়েছে। এবার জয়নগর মজিলপুরের এই খেলার মাঠ-এর জন্য কিছু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।”

পাশাপাশি কুণাল ঘোষ জয়নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, পড়াশুনার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রয়োজন আছে। সকলে সব কিছুতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন না। সকলে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না। খেলাধুলা করেও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। সেলিব্রিটিও হওয়া যায়।

এদিন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ জয়নগর মজিলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেলের প্রশংসা করে জানান, যখন সুজিতবাবুরা তাঁর কাছে মাঠের উন্নয়নের জন্য দরবার করেছিলেন, তখন তিনি বুঝেছিলেন জয়নগর পুরসভার চেয়ারম্যান রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে কাজ করার মানুষ। তাই কুণাল ঘোষও কাজের মানুষ সুজিত সরখেলের আবেদনে সাড়া দিয়ে ৬৫ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।

এই প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান সুজিত সরখেল বলেন, “কুণাল ঘোষকে ধন্যবাদ দিয়ে আমার ছোট করতে চাই না। ভোটে জেতার জন্য অনেক সময় আমরা রাস্তা, ড্রেন, জল, আলোর ব্যবস্থা করি। কিন্তু কোথাও থেকে মনে হয়েছিল, জয়নগরের আগামী প্রজন্মের খেলাধুলার উন্নতির জন্য কিছু করা প্রয়োজন। কিন্তু কোনওভাবেই অর্থের সংস্থান করতে পারছিলাম না। তাই কুণাল ঘোষের কাছে ছুটে গিয়েছিলাম। ওনার বাড়িতে গিয়ে আমাদের মাঠের প্ৰয়োজনীয়তা বুঝিয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে ওনাকে দেখানোর পর উনি দু’দিনের মধ্যে অনুদান মঞ্জুর করেছিলেন। আজ যে মাঠ দেখছেন, সেটা কুণাল ঘোষের অবদান।”

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতীতের তিন দিকপাল ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বোস এবং বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। জয়নগরবাসীকে এই অত্যাধুনিক মাঠ উপহার দেওয়ার জন্য তাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এমন মাঠ পেয়ে এলাকাবাসীও দারুন উল্লসিত। তাঁরা প্রত্যেকেই কুণাল ঘোষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এলাকার মহিলা-পুরুষ-যুবক-যুবতী-ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে খুদে ফুটবলাররা প্রাক্তন সাংসদকে ঘিরে ধরে সেলফির আবদার করেন। প্রত্যেকেরই আবদার মেটান কুণাল। মাঝে কিছু সময় শিক্ষানবিশ ফুটবলারদের সঙ্গে ফুটবলেও মেতে ওঠেন প্রাক্তন সাংসদ। এর পাশাপাশি একটি আধুনিক কমিউনিটি হলেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

সবমিলিয়ে কুণাল ঘোষ জয়নগরে এলেন, দেখলেন এবং মন জয় করলেন।

Previous articleবোল্টের চেয়েও দ্রুতগতির শ্রীনিবাস এ বার সাই-তে ট্রায়াল দেবেন!
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ