রাইস কেন এক নম্বর, বোঝা গেলো সমাবর্তনেই

স্বপ্নের উড়ানের সাফল্য উদযাপন।দেশ তথা রাজ্যের অন্যতম সরকারি চাকরির দিকদর্শনকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান `রাইস’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রায় একশো শতাংশই আজ কেন্দ্র তথা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি পদে আসীন।আর তাঁদের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতে প্রতিবারের মতো এবারও সমাবর্তন উৎসব আয়োজন করেছিল প্রতিষ্ঠান।রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাডামাস নলেজ সিটি ক্যাম্পাসে মহাসমারোহে পালিত হয় এই সমাবর্তন।অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন রাইস থেকে পড়াশোনা করে রাজ্য তথা কেন্দ্রের বিভিন্ন সরকারি পদে আসীন কর্মকর্তারা।সরকারি আমলা থেকে শুরু করে রেল, ব্যাঙ্ক, বিমা সংস্থায় কর্মরতদের এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়।বিশেষ চমক হিসাবে ২০১৬ ও ২০১৮ সালের ডব্লুবিসিএস-এর গ্রুপ-এ এক্সিকিউটিভ নিয়োগের পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী দুই ছাত্রকে গাড়ি উপহার দেওয়া হয়।শুভঙ্কর দত্ত এবং জয়ন্ত সাহা নামে ওই দুই ছাত্রের হাতে অল্টো গাড়ির চাবি তুলে দেন রাইসের কর্ণধার তথা অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফেসর সমিত রায়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাইস গ্রুপের অধিকর্তা মল্লিকা রায় প্রমুখ বিশিষ্টরাও।

এবছর প্রায় দেড় হাজারের মতো সফল ছাত্র-ছাত্রীকে সম্মানিত করা হয়।পুরস্কারস্বরূপ তাঁদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হয় উত্তরীয়, ট্রফি ও হাতঘড়ি।এছাড়াও ডব্লুবিসিএস পরীক্ষার গ্রুপ ‘এ’ ও গ্রুপ ‘বি’-র বিভিন্ন স্থানাধিকারীদের জন্য রয়েছে মাইক্রোওভেন, ব্লুটুথ সাউন্ড বারের মতো আকর্ষণীয় পুরস্কার।

১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার সকালে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান।সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দূরদুরান্ত থেকে প্রাক্তনীরা এসেছিলেন।সফল প্রার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তনীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার এক বিশেষ পর্বও আয়োজন করেছিল রাইস কর্তৃপক্ষ।যার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘টপার্স টক’।এই বিশেষ পর্বে রাইসের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাক্তনীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।তাঁদের সাফল্যের কী রসায়ন ছিল, কীভাবে তাঁরা পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, সমস্ত বিষয়ে খুঁটিনাটি বিস্তারিত আলোচনা চলে এই পর্বে।একইসঙ্গে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণ বিষয়ক খুঁটিনাটি নিয়ে অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে একটি সেমিনারও আয়োজন করা হয়েছিল।

রাইসের কর্ণধার প্রফেসর সমিত রায়ের কথায়, ‘‘প্রতিবারের মতো এবারও রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে কর্মরত রাইসের ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা দিয়েছে প্রতিষ্ঠান।রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর প্রাক্তনীরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।এই অনুষ্ঠানের মূল উপলক্ষ হল, প্রাক্তনীদের সাফল্যকে রাইসের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরে তাঁদের অনুপ্রাণিত করা।আমি আশাবাদী, এই বিশেষ অনুষ্ঠান দেশ তথা রাজ্যের নতুন প্রজন্মকে আমলা-সহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে এবং তার প্রস্ততি নিতে অনুপ্রাণিত করবে।’’

সুদীর্ঘ ৩৫ বছর আগে প্রফেসর সমিত রায়ের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে রাইস গ্রুপ।৪০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে তৈরি হওয়া এই যাত্রাপথে এখন সামিল হয়েছেন লক্ষ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী।সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ মানেই একটাই নাম ‘রাইস’।সাফল্যও নিশ্চিত প্রায় একশো শতাংশ।বেলঘরিয়ার ছোট্ট এক কামরার ঘরে তৈরি এই প্রতিষ্ঠান আজ পরিণত হয়েছে মহীরুহে।যার পথ ধরে একে একে তৈরি হয়েছে অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাডামাস ওয়ার্ল্ড স্কুল।যা এ রাজ্যের শিক্ষার পরিধিকে আরও অনেকটাই বিস্তৃত করেছে।

Previous articleবুধবার দিনভর রবীন্দ্র সদনে শায়িত থাকবে প্রয়াত তাপস পালের মরদেহ, সন্ধ্যায় শেষকৃত্য
Next articleপ্রশ্নপত্র ফাঁস! প্রকাশ্যে আসা প্রশ্ন মিলে গেল হুবহু