সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার থেকে ট্যুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব অ্যাকাউন্ট আর রাখবেন না। সোমবার এক ট্যুইটে নিজেই জানিয়েছেন একথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বের জননেতাদের মধ্যে প্রবল জনপ্রিয় মোদির এই ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত প্ল্যাটফর্ম জুড়ে থাকা তাঁর কয়েক মিলিয়ন ফলোয়ার তথা রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা। বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছেন। তবে বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়া সেলের মুখে কুলুপ। মুখ খোলেনি প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা সরকারি কোনও সূত্রও। ফলে মোদি কী পদক্ষেপ নেবেন বা নতুন কী চমক দিতে পারেন তা নিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, সিএএ ইস্যু বা দিল্লির হিংসা নিয়ে পশ্চিমি মিডিয়ার বড় অংশে সরকার বিরোধী প্রচার বা যে অতিরঞ্জিত অসত্যভাষণ শুরু হয়েছে তাতে বিদেশি সংস্থা পরিচালিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে দিয়ে ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোনও দেশিয় প্ল্যাটফর্মকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন নরেন্দ্র মোদি, যা তাঁর মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হবে। তবে শেষ পর্যন্ত মোদি কী পদক্ষেপ নেন তা নিয়ে আগ্রহ সর্বস্তরে।