অসুস্থ পূজারা মাঠ ছাড়লেন, আকাশদীপের বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরল বাংলা

রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ডিহাইড্রেশনের শিকার হলেন চেতেশ্বর পূজারা। পরিস্থিতি এমন হল যে তিনি মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন । ছয় নম্বরে নেমেছিলেন তিনি। ব্যাট করছিলেন ৫ রানে। কিন্তু জলশূন্যতার কারণে সৌরাষ্ট্র ইনিংসের ৭৭ ওভারের পর ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন তিনি।


সোমবার রাজকোটে  টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সৌরাষ্ট্র। বড় রানের পথে এগোচ্ছিল তারা । জয়দেব উনাদকটের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তকে সঠিক করে তুলেছিলেন সৌরাষ্ট্রের দুই ওপেনার। অভি বারোত ও হার্ভিক দেশাই প্রথম উইকেটে তুলেছিলেন ৮২ রান।প্রথম দিন লাঞ্চের সময় ৩৫ ওভারে হোমটিম বিনা উইকেটে তুলেছিল ৭৭। আড়াই ঘন্টার প্রথম সেশনে একটাও উইকেট পড়েনি। অবশ্য  স্লিপে দুটো কঠিন ক্যাচ ফেলেছিল বাংলা । ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। তৃতীয় সেশনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান বাংলার আর এক ক্রিকেটার, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়।
লাঞ্চের পর  জোড়া ধাক্কা দিয়ে ফেরার চেষ্টা করেছিল বাংলা। শাহবাজ আহমেদের স্পিনে হার্ভিক দেশাই (৩৮) ক্যাচ দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে। এর পর ফিরেছিলেন অভি বারোত (৫৪)। আকাশদীপের বলে উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহাকে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। তবে তার আগে হাফসেঞ্চুরি করেন বারোত। ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল সৌরাষ্ট্র। চায়ের বিরতির সময় ৬১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১৫৫ তুলেছিল হোমটিম। দ্বিতীয় সেশনে উঠেছিল ৮০ রান। পড়েছিল দুই উইকেট।
তৃতীয় সেশনের শুরুতেই ৭৫ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেছিলেন বিশ্বরাজ জাডেজা। কিন্তু এর পরই আকাশদীপের দুরন্ত ইনসুইংয়ে বোল্ড হন বিশ্বরাজ (৫৪)। ১৬৩ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। চতুর্থ উইকেট পড়ে ১৮২ রানে। শেলডন জ্যাকসন (১৪) এলবিডব্লিউ হন ঈশান পোড়েলের বলে।
দিনের শেষে ৫ উইকেটে ২০৬ রান তুলেছে সৌরাষ্ট্র। ২৪ বল খেলার পর চেতেশ্বর পূজারার জায়গায় নেমে খেলছেন চেতন সাকারিয়া (৪)। তাঁর সঙ্গী অর্পিত ভাসাভাদা (২৭)।

প্রথম দিন বাংলার হয়ে ৩টি উইকেট পেয়েছেন আকাশদ্বীপ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন শাহবাজ আহমেদ এবং ইশান পোড়েল। দ্বিতীয় দিন বাংলার লক্ষ্য থাকবে সৌরাষ্ট্রকে যত কম রানে সম্ভব আটকে দিয়ে প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়া। বাংলার কোচ অরুণ লাল চাইবেন, যে কোনওভাবে সৌরাষ্ট্রকে ৩০০ রানের কমে আটকে দিতে।
বাংলা দলে এদিন দুটো পরিবর্তন হয়। ওপেনার অভিষেক রামনের জায়গায় এগারোয় আসেন সুদীপ ঘরামি। ফাইনালে অভিষেক হল তাঁর। উইকেটকিপার হিসেবে দলে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাদ পড়েছেন শ্রীবৎস গোস্বামী। অন্যদিকে, সৌরাষ্ট্র দলে একটিই পরিবর্তন হয়েছে। প্রথম এগারোয় এসেছেন চেতেশ্বর পূজারা।

Previous articleলজ্জার দিন যোগীর, পোস্টার সরাতে বলল আদালত
Next articleরিয়াল কাশ্মীরকে হারিয়ে মোহনবাগানের আই লিগ জয়ের পথ সহজ করে দিল লাল-হলুদ