মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু দমনেও ঝাঁপাচ্ছে রাজ্য

এক রামে রক্ষা নেই !

করোনা-প্রকোপের মাঝেই যদি ডেঙ্গু সংক্রমণ শুরু হয়, তাহলে সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল৷ তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগাম সতর্কতায় বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য।

করোনা-যুদ্ধ চলছেই, তার মাঝেই রাজ্যে ডেঙ্গু দমনের প্রস্তুতি শুরু করতেও নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা-র মধ্যে ডেঙ্গু যাতে নতুন উদ্বেগের কারণ না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

গত কয়েক বছর রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় ইদানিং শীতকাল থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সরকারি উদ্যোগ শুরু হয়ে যায়। এবছরও তা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারনে ডেঙ্গু-নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি স্থগিত হয়ে যায়৷ এবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শুরু করতে রাজ্যের সব পুরসভাকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই কাজে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে স্বাস্থ্য দপ্তরের যুগ্মসচিব শরৎ দ্বিবেদিকে নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। প্রতি জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে নজরদারির জন্য পুর দফতরের একজন করে যুগ্মসচিব পর্যায়ের অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ কলকাতার পাশাপাশি
গোটা রাজ্যেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি চলবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়েও সাবধান হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। গরম ও বৃষ্টির সঙ্গে রাজ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য দুটি দফতরকে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে৷ পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব সুব্রত গুপ্ত এবং স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্মসচিবকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বেগ, করোনার এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ যদি আবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে সরকারের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে। তাই আগাম সতর্কতায় বিশেষ নজর দিচ্ছে রাজ্য।
প্রসঙ্গত, গত বছর রাজ্যে ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়।

Previous articleকেরলে আটকে থাকা বাংলার শ্রমিকদের কাছে একটা সৌজন্য ফোনও গেল না!
Next articleরক্ষকই যখন অভিযুক্ত ‘মিষ্টি ভক্ষক’