চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষায় প্রোটোকল রাজ্যের, প্রশ্ন, বাদ কেন সাফাইকর্মীরা

রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও করোনা-আক্রমণের শিকার হচ্ছেন৷

বাংলায় এঁদের সংখ্যা অন্তত ২৫ জন, যার মধ্যে ১২ জনই চিকিৎসক। এই তালিকা লম্বা হলে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবাই সঙ্কটের মুখে পড়বে৷ ইতালিতে শতাধিক চিকিৎসকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে করোনার ছোবলে। চিকিৎসক-নার্স- প্যারামেডিক-স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ব্রিটেনে ৫ হাজারেরও বেশি চিকিৎসাকর্মী করোনায় আক্রান্ত। আমেরিকাতেও একই পরিস্থিতি ৷ তাই চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে কড়া করোনা- রক্ষাকবচ প্রোটোকল তৈরি করলো স্বাস্থ্যভবন। একজন চিকিৎসাকর্মীর করোনা- আক্রান্ত হওয়ার অর্থ, তাঁর অনেক সহকর্মীকেই একসঙ্গে কোয়ারান্টিনে চলে যেতে হবে। এতে বিঘ্নিত হবে পরিষেবা। চিকিৎসা পরিষেবা সুষ্ঠু ভাবে টিকিয়ে রাখতেই বিশেষ প্রোটোকল তৈরি করেছে রাজ্য৷

◾বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন অবশ্য বলেছে, সুরক্ষাকবচের জোগান ও সরবরাহ আগে নিশ্চিত ও পর্যাপ্ত করুক সরকার।

◾একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, শুধু চিকিৎসাকর্মী নয়, নিরাপত্তাকর্মী থেকে শুরু করে সাফাইকর্মী, এমনকী যাঁরা শবদেহ নিয়ে যান, তাঁদের পিপিই-র বিষয়টিও খেয়াল রাখা রাখা হচ্ছে না কেন ?

সরকারের বক্তব্য :

◾চিকিৎসাকর্মীদের অসুস্থ হয়ে পড়া ঠেকাতেই হবে।

◾শুধু ইন্ডোর ওয়ার্ডে কর্মরতদের জন্যই নয়, ইমার্জেন্সিতে ডিউটি করা ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ানদের জন্যও পিপিই ব্যবহার বাধ্যতামূলক।

◾রাজ্যে মোট করোনা- আক্রান্তের প্রায় ১০% হলেন চিকিৎসাকর্মী।

◾ফিভার ক্লিনিকে কর্মরতদের জন্য আগেই সুরক্ষা-প্রোটোকল তৈরি করে দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন।

◾হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ও আউটডোরে কর্মরতদের জন্যও মাস্ক, গ্লাভস এবং হেড-টু-টো গাউনের মতো পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই পরার ঘোষণা করা হয়েছে।

◾শুধুমাত্র চিকিৎসাকর্মীদের
সুরক্ষাকবচ নয়, হাসপাতাল চত্বরে ঢোকা ১০০% রোগী ও তাঁদের পরিজনের জন্যও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

◾ইমার্জেন্সিতে ঢোকার ক্ষেত্রে সব রোগী- পরিজনকেই যে থার্মাল গানে শরীরের তাপমাত্রা পরখ করিয়েই ঢুকতে হবে৷

◾কোন রোগীর জ্বর আছে আর কার নেই, কোন রোগীর করোনার উপসর্গ কিংবা জটিলতা দেখা দিতে পারে অথবা পারে না, মেডিসিন বিভাগে ভর্তির আগে সেই বিচার সেরে ফেলতে বলা হয়েছে ইমার্জেন্সি অথবা সংলগ্ন ঘরেই।

◾ইন্ডোর ওয়ার্ডে ডিউটি করা সব ধরনের কর্মীকেই পরতে হবে মাস্ক-গ্লাভস-পিপিই।

◾এই প্রটোকল যাতে কর্মীরা মেনে চলেন, তার জন্য তার জন্য স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্তাদের কড়া হতে হবে।

Previous articleএই মুহূর্তে রাজ্যের মানুষের কাছে কী কী সমস্যা
Next articleদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা কমে সুস্থ-র সংখ্যা বাড়ছে, আপাতত মোট আক্রান্ত ১২,৩৮০ জন