হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন: চারটি সুবিধা এনে দিতে পারে ভারতকে, কী কী?

কোভিড ১৯ মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। ভারত থেকে এই ওষুধ চাইছে সব দেশ। মোদি সরকারও কখনও হুমকির মুখে পড়ে আবার কখনও আবেদনে সাড়া দিয়ে ওষুধ পাঠাচ্ছে। বিরোধীরা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বলেছে যখন ঘরে ওষুধ দরকার তখন বিদেশে রফতানি করা হচ্ছে কেন? ভারতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধের প্রয়োজন বেশি পড়লে তখন কী হবে? বিশ্বকে সাহায্য করতে গিয়ে দেশের মানুষকে বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। কূটনীতিবিদরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের এই নীতির পিছনে বেশ কিছু কারণ। আছে মূলত চারটি কারণকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তাঁরা।

প্রথমত: হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের বাড়তি চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিক মন্দার মধ্যেও কিছুটা লাভের মুখ দেখা।

দ্বিতীয়ত: বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করা।

তৃতীয়ত: করোনা চিকিৎসার সাজ-সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া। দ্রুত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের আশা, এতে বিদেশ থেকে এন-৯৫ মাস্ক-সহ করোনা-মোকাবিলার সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।

চতুর্থত: পশ্চিম এশিয়ার উপকূলবর্তী আরব দেশগুলিতে কাজ করছেন প্রায় ৮০ লক্ষ ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তাঁদের যাতে সেখানে কাজ হারাতে না হয় বা সমস্যায় পড়তে না হয়— সেই লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী থেকে বিদেশমন্ত্রী ও বিদেশসচিব পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রেখে চলছেন।

সাউথ ব্লকের কর্তারাও এই যুক্তিগুলিকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Previous articleইমেলের উত্তর দিচ্ছেন না করদাতারা, কাজ আটকে আয়করের
Next articleথার্মাল স্ক্যানিংয়ে শরীরের তাপমাত্রা বেশি! মেয়রের ঘরে ঢুকতে বাধা প্রভাবশালী মেয়র পারিষদকে