বুধবার দিনভর দক্ষিণ কলকাতার গুরুসদয় দত্ত রোডে বিএসএফ হেড কোয়ার্টাসে দিনভর রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর আজ, বৃহস্পতিবার ফের শহরের বুকে ছুটলো কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কনভয়। এদিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মূলত দুটি হাসপাতালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
সকালের দিকে বিএসএফ সদর দফতর থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যায় রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন জাতীয় ক্যান্সার প্রতিষ্ঠানে। যেটি এখন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। পুরো কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনে করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতনিধিরাও।
রাজারহাটে তাঁরা কর্তব্যরত বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেন। কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হচ্ছে, কী পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে? টেস্ট পর্যাপ্ত হচ্ছে কিনা? পর্যাপ্ত পিপিই রয়েছে কিনা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে।
এরপর রাজরাহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বেরিয়ে তাঁরা সোজা আসেন দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের এম আর বাঙুর হাসপাতালের দিকে। এই হাসপাতালই এখন রাজ্যের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল। এখানে ৫৮২টি বেড রয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্তও ভর্তি রয়েছেন এই হাসপাতালেই।
কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে এম আর বাঙ্গুর কোভিড হাসপাতাল তাঁরা পরিদর্শন করেননি। সেখানকার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়নি তাঁদের। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এম আর বাঙুর কোভিড হাসপাতালের পাশেই এম আর বাঙুর জেনারেল হাসপাতালে ঢোকেন।
এ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি দেখতেই কলকাতা শহরে এসেছে কেন্দ্রের এই প্রতিনিধি দল। কিন্তু কেন কোভিড হাসপাতালে না গিয়ে পাশের জেনারেল হাসপাতালে তাঁরা গেলেন? তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।