বোবা-তাঁত: কবে বোনা হবে পুজোর শাড়ি? চিন্তায় ধনেখালি

লকডাউন- বন্ধ শাড়ির দোকান, বাজার। নেই তাঁত যন্ত্রে মাকুর খটাখট শব্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যস্ততা নেই ধনেখালির তাঁতিদের। আগামী দিনগুলো কীভাবে কাটবে? সেই দুশ্চিন্তা গ্রাস করছে শিল্পীদের।

চৈত্রের বিক্রির পর বৈশাখের শুরু থেকে দুর্গাপুজোর শাড়ি তৈরি শুরু হয় ধনেখালিতে। কিন্তু করোনার কারণে চৈত্রের তৈরি শাড়ি পড়ে রয়েছে শিল্পীদের বাড়িতে। যে মহাজনরা শাড়ি কিনতে গ্রামে যান, তাঁদের দেখা নেই। ফলে তৈরি শাড়ি বাড়িতে রয়েছে মজুত। ধনেখালি ব্লকের সোমসপুর, ইনাথনগর, হারপুর, আলা, হাজিপুর, বৃন্দাবনপুর, জয়কৃষ্ণবাটি গ্রামের ১০০০ জন পরিবার এই পেশায় যুক্ত রয়েছে। এই সমস্ত তাঁতশিল্পীরা সোমসপুর ইউনিয়ন কোঅপারেটিভ উইভার্স সোসাইটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে শাড়ি তৈরির সুতো ও কাঁচা রঙ নিয়ে বাড়িতে শাড়ি তৈরি করেন। শাড়ির গুণগত মান অনুযায়ী শিল্পীরা পারিশ্রমিক পান। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সমবায় সমিতি বন্ধ। শিল্পীদের চাহিদা অনুযায়ী নেই শাড়ি তৈরির সুতো ও রঙ। ফলে সমবায় সমিতির আশঙ্কা এই লকডাউনের সময়সীমা আরও বাড়লে কাঁচা মালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে ধনেখালির তাঁতের শাড়ি তৈরির কাজ। এই চরম দুর্দশায় আর্থিক সাহায্যের জন্য রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন ধনেখালির তাঁতশিল্পীরা।

Previous articleনিজেদেরই কালিম্পং ঘুরতে হল দিল্লির টিমকে
Next articleলকডাউনের মধ্যে সুখবর সাকিবের পরিবারে