পুজো না হলেও তো বহু পরিবারে বিপদ, নামছে লেবুতলা পার্ক

করোনা আবহে দুর্গাপুজো অনিশ্চিত। তবু মৃৎশিল্পীর হাতে কিছু অগ্রিম ও এখনকার ত্রাণসামগ্রী দিয়েই প্রতিমা বায়না করে আসরে নামছে লেবুতলা পার্ক বা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার। তাদের পুজোর অন্যতম শীর্ষকর্তা সজল ঘোষ ফেস বুক পোস্টে লিখেছেন-

TV, ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ যেদিকে যাই, শুধুই করোনা দেখতে পাই।
_আসুন এবার একটু জীবনের দিকে ঘুরে তাকাই।_

আগামীকাল ১১ মে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তাদের এবারের ৮৫ তম বর্ষের দেবী দুর্গার আহ্বান এর প্রথম ধাপ হিসেবে, আগামীকাল কুমারটুলি শিল্পীর হাতে প্রতিমা তৈরীর অগ্রিম দেওয়া হবে।
_সঙ্গে বর্তমান দুরবস্থার মধ্যে থাকা শিল্পী, সহকারীদের জন্য কিছু খাদ্যদ্রব্য আমরা পৌছে দেবো, ঠিক বিকাল 4 টায়।_

পুরো অনুষ্ঠানটা হবে শ্রী মিন্টু পাল এর স্টুডিওতে।

_আমাদের আবেদন আপনারাও থাকুন, পুজো ছোট হবে, কি বড় হবে সেটা আমরা জানি না কিন্তু পুজো তো একটা করতেই হবে (সে নমঃ নমঃ করেও যদি হয়)।_
_পূজাকে ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে ৫০ হাজার কোটি টাকার একটা বাজার তৈরি হয়, পুজো না হলে বাজার টা পুরো ধ্বংস হবে, তাতে মারা পড়বেন বিশেষ করে প্রান্তিক গরিব হাজার হাজার মানুষ।_
_আবার যদি অসুখটা থেকে যায় তাহলে পুজো দেখতে আসাটাও বিড়ম্বনা, সেক্ষেত্রেও বড় পূজো সম্ভব না।_
মনে হয় না আগামী কয়েক মাসের মধ্যে করোনা না আমাদের জীবন থেকে মুছে যাবে, কিন্তু অর্থনৈতিক ভাবে যদি বাঁচতে হয় তাহলে করোনার না সঙ্গে লড়াই করেই বাঁচতে হবে, তাই আমাদের যাত্রা শুরু হলো।

_অবশ্যই আমরা ভবিষ্যতে সমস্ত সরকারি বিধি নিয়ম যা যা থাকবে সমস্ত কিছুকেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো,রোগ ছড়িয়ে পড়ার মতন বিন্দুমাত্র ভুল কাজ আমরা করব না_

সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষে –
সজল ঘোষ কর্তৃক প্রচারিত।

Previous articleকারোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল
Next articleভারত-চিন সেনা সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত উত্তর সিকিম সীমান্ত