অমানবিক-অযোগ্য রাজ্য সরকারের জন্য রাস্তাঘাটে প্রাণ হারাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা! বিস্ফোরক দিলীপ

লকডাউন পর্বে প্রতিদিনের মতো আজ, বৃহস্পতিবারও সল্টলেকে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিনও তিনি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। একনজরে দেখে নিন আজ, শনিবার যা বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।

(১) হুগলির তেলিনিপাড়ায় বিনা কারণে বিনা দোষে স্থানীয় হিন্দু সমাজের লোকেরা অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একবার পুলিশের হাতে, একবার অত্যাচারিতদের হাতে। এর পাশাপাশি নির্দোষ হিন্ধু জাগরণ মঞ্চের এক নেতাকে পুলিশ ব্যারাকপুর থেকে তুলে নিয়ে চুঁচুড়ায় আটকে রেখেছে।

(২) হিন্দু সমাজের প্রায় ১০০ জনকে বিনা কারণে পুলিশ তুলে নিয়েছে। এবং আমাদের দুই সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও অর্জুন সিং সেখানে গিয়েছিলেন সাধারণ নিপীড়িত মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তাঁদের সঙ্গে জেলা শাসক এবং পুলিশ অফিসারাও দেখা করেনি। আজ তাঁদের বিরুদ্ধে, এফআইআর হয়েছে। দাঙ্গা লাগানোর কেস দেয়। ফৌজদারি বিধিতে কেস হয়েছে।

(৩) এই সরকার অমানবিক এবং অযোগ্য। জন প্রতিনিধিদের ঢুকতে দিচ্ছে না। সাংসদের সঙ্গে ক্রিমিনালের মতো ব্যাবহার করছে এই সরকার। পুলিশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।

(৪) মানুষ বুঝে গেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার অমানবিক, এই সরকার ভিন রাজ্যের মানুষদের ফিরিয়ে আনবে না, তাই তাঁরা নিজেদের চেষ্টায় রাস্তা ধরে, ট্রেন লাইন ধরে ফিরে আসছেন। আর সে কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণ যাচ্ছে।

(৫) রাজ্য সরকার ১০৫ টা ট্রেনের কথা বলে লোক হাসাচ্ছে। এই সরকার অকর্মণ্য, এবং ডাহা ফেল সরকার।

(৬) এই রাজ্য সরকার প্রচণ্ড অমানবিক, তাঁরা পরিযায়ী শ্রমিকদের আসতেও দিচ্ছে না, যেতেও দিচ্ছে না। তাদের জন্যেই এতো শ্রমিক মারা যাচ্ছে।

(৭) রাজ্য ট্রেন চেয়ে যে চিঠি কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে সেই চিঠি কেন্দ্রের কাছে যায়নি। মিডিয়াকে ভুয়ো খবর দেওয়ার জন্য এবং মানুষকে ভুল বোঝানর জন্য এইসব কথা।

(৮) এই সরকার অর্জুন সিংকে সহ্য করতে পারছে না, তাঁকে বার বার মারার প্ল্যান করছে।

(৯) সব জায়গায় পৌরসভা বোর্ডে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি করা হোক।

(১০) পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস এখনও হাতের বাইরে যায়নি। কিন্তু সরকার যদি সচেতন না হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।

Previous article২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে সংক্রমিত ১১৫ ও মৃত ৭, ফলে রাজ্যে এখন করোনাযুক্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২৩২, সরাসরি করোনা সংক্রমণের কারণেই মারা গিয়েছেন ১৬০ জন, বাকি ৭২ জনের করোনা সংক্রমণের সঙ্গে ছিল কো-মরবিডিটি, মোট আক্রান্ত ২৫৭৬
Next articleশিলিগুড়ি: বামেদের আপত্তিতে সিদ্ধান্ত বদল, তৃণমূলদের সরিয়ে নতুন প্রশাসকমণ্ডলী গঠন