তিন দিনে রাজ্য ছাড়লেন প্রায় ৬০০জন, রাজ্যে নার্স সঙ্কট গভীরতর হচ্ছে

রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির মাঝে নয়া সঙ্কট। একের পর এক নার্সিং স্টাফদের পদত্যাগ। বৃহস্পতিবার রাজ্য ছেড়েছিলেন ১৮০জন নার্স। তাঁরা মূলত মণিপুরের বাসিন্দা। তাঁরা এতখানিই মরিয়ে ছিলেন যে বাস ভাড়া করে বাংলা থেকে গুয়াহাটি পৌঁছন। সেখান থেকে নিজেদের রাজ্যে। শনিবার রাজ্য ছাড়লেন আরও ২৪২ জন নার্স। তবে জানা গিয়েছে এই সংখ্যা রাতে ৪০০ ছাড়িয়ে যায়। নার্স সঙ্কটে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি।

কিন্তু কেন এই সঙ্কট? নার্সিং স্টাফদের অন্দরের বক্তব্য, মূলত সুরক্ষার অভাব, বহু নার্স করোনায় আক্রান্ত হওয়া, বারবার বলা সত্ত্বেও করোনা কিটের সুরক্ষা না পাওয়া এবং টানা ডিউটির চাপ। ফলে তাঁরা চাকরির পরিবেশে নিজেদের মোটিভেট করতে পারছিলেন না। এব্যাপারে বেশ কিছু চিকিৎসক রাজ্য ও কেন্দ্রের নার্সিং কাউন্সিলের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। তার সঙ্গে কিছু বেসরকারি হাসপাতালের কর্তা আবার তাদের রেজিস্ট্রেশনের উপর হাত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পাল্টা নার্সিং স্টাফদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, যে সব ডাক্তার প্রাইভেট প্র‍্যাক্টিশ থেকে সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন না, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন কী আইএমঅএ কেড়ে নেবে? ফলে সরকারি হস্তক্ষেপ সহ সুপরিবেশ ছাড়া ভারতে অবস্থা বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই।

বিগত ২৪ ঘন্টায় কোন হাসপাতাল থেকে ক’জন নার্স চাকরি ছেড়ে চলে গেলেন তার দিকে একটু তাকিয়ে নেওয়া যাক। আমরি ছাড়লেন ৭২জন, ডিসান থেকে ৭৬জন, চার্নক ছাড়লেন ১৪জন, ইডিএফ ছাড়লেন ৪২জন, বেলভিউ ছাড়লেন ২৬জন, পিয়ারলেস ছাড়লেন ১২জন। এবার দেখা যাক কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভিন রাজ্যের নার্স কী রকম পরিমাণ থাকেন। ফর্টিস হাসপাতালের উদাহরণ নিলে দেখা যাবে সেখানকার হিসাবটা এরকম… মণিপুরের ৪৪জন, মেঘালয়ের ১৭জন, ত্রিপুরার ১০৪জন, ওড়িশার ৫৫জন, মিজোরামের ২জন, বিহার ও ঝাড়খণ্ডের ৪০জন, অসমের ১জন, রাজস্থনের ২জন, উত্তরপ্রদেশের ৪জন, তামিলনাড়ুর ৭জন এবং বাংলার ১১৯জন।

প্রশ্ন উঠেছে, বেসরকারি হাসপাতলগুলি এবার কী করবে? এখন কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কট।

Previous articleআমডাঙা জোড়া খুন কাণ্ডে “আত্মসমর্পণ” অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের
Next articleপারাদ্বীপ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে আমফান, ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ৯০ কিমি!