চিনের প্রচ্ছন্ন মদত, ভারতীয় ভূখণ্ড যুক্ত করে নেপালি সংসদে পেশ নয়া মানচিত্র বিল

আড়াল থেকে বিতর্কে ইন্ধন জোগাচ্ছে চিন। আর সেই জোরে ভারতের উত্তরাখণ্ডের পিথোরগড় জেলার একাংশকে নিজেদের বলে দাবি করে সরকারিভাবে দেশের নতুন মানচিত্র প্রস্তুত করছে নেপাল সরকার। চিনের ঘনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির মুখে ভারত বিরোধী জিগির দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন তীব্র করেছে। নেপালের শাসক দলের আনা বিলকে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে সেদেশের বিরোধীরাও। ফলে নেপালি সংসদে নয়া মানচিত্র বিল পাশ হয়ে যাওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা।

প্রসঙ্গত, এই মানচিত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল আগেই। ভারতের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও এবার নয়া ম্যাপে সরকারি সিলমোহর দেওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগলো নেপাল। দু’দেশের মধ্যে সঙ্ঘাতের আবহেই রবিবার নেপালের সংসদে পেশ হল ‘ম্যাপ আপডেট বিল’। নয়া ম্যাপে ভারত-নেপাল সীমান্তের লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখ-কে নেপালের অংশ বলে দাবি করা হয়েছে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে নেপালের বিরোধীরাও এই বিলে সমর্থনের বার্তা দিয়েছে। ফলে বিল পাশ হয়ে যাওয়া এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। আর সেটা হলে অবধারিতভাবেই নয়াদিল্লি-কাঠমান্ডু সঙ্ঘাত আরও তীব্র হবে। বিল পেশ হওয়ার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু সংবিধান সংশোধনী বিলে দুই তৃতীয়াংশ সাংসদের সমর্থন দরকার হয়। তাই সব দিক মেপে এগোতে চাইছিল কেপি শর্মা ওলি সরকার এবং তাঁর দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি। সেই কারণেই বিল পেশের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পর ম্যাপ আপডেট বিলকে সমর্থনের বার্তা দেয়। তার পরেই রবিবার সংসদের নিম্নকক্ষ ‘হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’-এ এই বিল পেশ করেছেন নেপালের আইনমন্ত্রী। সংখ‍্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে বিলটি পাস হলে নিশ্চিতভাবেই ভারত-নেপাল সম্পর্ক চরম তিক্ত আকার নেবে।

Previous articleআমফান বিধ্বস্ত বাংলার পাশে দাঁড়াল ‘হেল্প বেঙ্গল’
Next article১০০ তে মাত্র ৩ পেলেই অধ্যাপক!