করোনা সংক্রমণ রুখতে চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় বন্ধ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্কুলের পঠনপাঠন হচ্ছে অনলাইনে। কিন্তু সমাজের নিম্নবিত্তরা কীভাবে অংশ নেবে এই ক্লাসে? বারবার এই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। যাদের দুবেলা-দুমুঠো জোটে না তাদের পক্ষে স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করা কার্যত অসম্ভব। অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল কেরলের ছাত্রী।
কেরলের মালাপ্পুরমের বাসিন্দা দেবিকা স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়িতে টিভি নেই। স্মার্ট ফোন খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারছিল না ওই কিশোরী। তাঁর মা-বাবা জানিয়েছে মানসিক অবসাদে ভুগছিল দেবিকা। সোমবার থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিনই সন্ধে নাগাদ বাড়ির পাশ থেকে তার দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় মানুষ। পাশে একটি কেরোসিনের খালি ড্রামও পাওয়া গিয়েছে। ওই ছাত্রীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
তবে এই সমস্যা শুধুমাত্র কেরলে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের একটা বড় অংশের মানুষের স্মার্টফোন কেনার সামর্থ্য নেই। দেশের বিভিন্ন অংশ পৌঁছয়নি ইন্টারনেট পরিষেবা। সেই সব অঞ্চলের পড়ুয়ারা কীভাবে লেখাপড়া করবে তার উত্তর অধরা।