বিজেপির’র নয়া কমিটিতে ব্রাত্য কেন শমীক-দেবজিৎ? বাড়ছে ক্ষোভ, উঠছে প্রশ্ন

বিজেপির নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে পরীক্ষিত এবং পরিচিত দুই মুখ, শমীক ভট্টাচার্য এবং দেবজিৎ সরকারের ঠাঁই না হওয়ায় দলের অন্দরেই বিস্মিত অনেকে৷

শমীক ভট্টাচার্য দলের প্রাক্তন বিধায়ক, সুবক্তা এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে নিয়মিতভাবেই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন৷ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে দমদম কেন্দ্রে দলের প্রার্থী ছিলেন৷

দেবজিৎ সরকার দলের যুব মোর্চার সফল সভাপতি ছিলেন৷ দলের যুবসমাজে যথেষ্টই প্রভাব আছেন৷ লড়াকু৷ ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে দলের প্রার্থী ছিলেন৷
শমীক সম্পর্কে বিজেপির অন্দরের খবর, তিনি দিলীপ ঘোষের বিরোধী এবং মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত হয়ে গিয়েছিলেন। একটি টেলিফোনবিতর্কেও জড়িয়ে পড়েন। সেকারনেই সম্ভবত শমীককে এবার আর নতুন কমিটিতে রাখা হয়নি৷ দলে শমীককে পছন্দ করেন, এমন লোকজন কম নেই৷ প্রভাবও যথেষ্ট৷ রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দলের মধ্যে আলোচনা চলছে, শমীক ভট্টাচার্যকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দলের ক্ষতিই হবে৷

ওদিকে দলের যুব মোর্চার সভাপতি থাকা দেবজিৎ সরকার দলের অভ্যন্তরে যথেষ্ট জনপ্রিয়৷ দলের বাইরেও দেবজিৎ-এর নিজস্ব পরিচিতের গণ্ডি বেশ বড়৷ দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে, মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর দায়িত্ব থাকা লকেট চট্টোপাধ্যায় যদি দলের সাধারন সম্পাদক হতে পারেন, তাহলে যুব মোর্চার সভাপতি থাকা দেবজিৎ-কে সরাসরি ছেঁটে দেওয়া হলো কেন ?
বঙ্গ-বিজেপির এই দুই লড়াকু নেতার অনুগামীও কম নয়৷ দলের এই সিদ্ধান্তে দুই নেতার শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, যাদের হাত ধরে এ রাজ্যে জমি খুঁজে পেয়েছে বিজেপি, সেই দুই নেতাকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া সঠিক হয়নি৷ রাজ্য কমিটির এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কু-প্রভাব দলে পড়বে৷
এ বিষয়ে দু’জনের কারো মতামতই পাওয়া যায়নি৷ দুই নেতাকে এভাবে ছেঁটে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে দলের অন্দরেই৷

Previous articleলকডাউনে অতিষ্ঠ দম্পতিকে কী প্রস্তাব দিলেন সোনু সুদ?  
Next articleঘূর্ণিঝড় ত্রাণে ৪ কোটি টাকা সাহায্য করল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক