কনটেইন্টমেন্ট জোনে কোনও হোটেল, রেস্তোঁরা খুলে রাখা যাবে না, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের

হোটেল, রেস্তোঁরা, ধর্মীয় স্থান ও কর্মক্ষেত্র নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৬৫ বছরের বেশি বয়সি ব্যক্তি, কোমরবিডিটি থাকা ব্যক্তি, অন্ত:সত্ত্বা এবং ১০ বছরের কম বয়সিদের বাড়িতে থাকতে হবে । করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। ৮ জুন থেকে কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা কার্যকর হবে।
কনটেইন্টমেন্ট জোনে কোনও হোটেল খুলে রাখা যাবে না।কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে হোটেল খোলা যাবে । রেস্তোরাঁয় শুধু উপসর্গহীন কর্মী ও অতিথিদের ঢোকার অনুমতি দিতে হবে। ব্যাগ হোটেলের ঘরে পাঠানোর আগে করতে হবে জীবাণুমুক্ত। হোটেলের ঘরে রুম সার্ভিসেও রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। রেস্তোঁরায় স্যানিটাইজার রাখতে হবে এবং প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। থুতু ফেলা যাবে না। রেস্তোরাঁর কর্মীদের গ্লাভস পরে থাকতে হবে। রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৫০শতাংশের বেশি গ্রাহককে প্রবেশ করানো যাবে না। সরাসরি গ্রাহকের হাতে দেওয়া যাবে না কোনও খাবারের প্যাকেট। হোম ডেলিভারির আগে রেস্তোরাঁর কর্মীদের থার্মাল চেকিং করা বাধ্যতামূলক।কোভিড-১৯ পোস্টার, স্ট্যান্ডি অথবা অডিও ভিস্যুয়াল মিডিয়া প্রদর্শন করতে হবে।কার পার্কিংয়েও সমস্ত নিয়ম মানতে হবে।
ভিতরে ঢোকা এবং বেরনোর জন্য পৃথক পথ ব্যবহার করতে হবে, ইত্যাদি।
কর্মক্ষেত্রে নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে, কর্মীদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক, গ্লাভস পরে থাকতে হবে। ঘন ঘন হাত ধুতে হবে বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে থুতু ফেলা যাবে না। সব কর্মীর ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক। কর্মক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্রিনিং করতে হবে। অন্ত:সত্ত্বা ও বয়স্কদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কর্মীদের বসার জায়গায় একে অপরের মধ্যে এক মিটার দূরত্ব রাখতে হবে।
ধর্মীয় স্থানের ক্ষেত্রে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট জোনে খোলা যাবে না কোনও ধর্মীয় স্থান। কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে ধর্মীয় স্থান খোলা যাবে। প্রত্যেককে মাস্ক পরে থাকতে হবে, একে অপরের মধ্যে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, থুতু ফেলা যাবে না, ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ রাখতে হবে। এছাড়া বলা হয়েছে, ধর্মীয় স্থানে প্রবেশের দরজায় থার্মাল স্ক্রিনিং ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে, প্রার্থনা করার জন্য বাড়ি থেকে নিজস্ব মাদুর বা কাপড় আনতে হবে, কারও সঙ্গে করমর্দন বা আলিঙ্গন করা চলবে না।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleবৃক্ষরোপনের মাধ্যমে পরিবেশ দিবস পালনে মুখ্যমন্ত্রী