8 দিনের কন্যাকে নিয়ে মাঝরাতে ৩ হাসপাতাল ঘুরলেন প্রাক্তন ফুটবলার ক্রোমা

সদ্যোজাত কন্যাসন্তানের বয়স মাত্র ৪দিন৷ হঠাৎই ধরা পড়ে শিশুটি জন্ডিসে আক্রান্ত৷

আর সেই অসুস্থ কন্যাকে বুকে আগলে সোমবার মাঝরাতে কলকাতার ৩ হাসপাতালে ঘুরে বেড়ালেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার আনসুমানা ক্রোমা৷
ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হল তাঁর। করোনার দোহাই দিয়ে কোনও হাসপাতালই ভর্তি নিতে চায়নি শিশুটিকে৷ শেষ পর্যন্ত শ্যামপুকুর থানার সাহায্যে রবিবার মাঝরাতে পার্ক স্ট্রিটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চার দিনের শিশুকে ভর্তি করাতে পারেন কলকাতার দুই প্রধানে খেলা স্ট্রাইকার ক্রোমা৷

লাইবেরীয় ক্রোমা বাংলার জামাই৷ স্ত্রী পূজা দত্ত নিখাদ বাঙালি ৷ গত ৪ জুন শ্যামবাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হয় পূজা-ক্রোমা’র কন্যা সন্তান৷ সেদিনই মেয়ের নাম রাখেন বিন্দু।

চারদিনের মাথায়, রবিবার সন্ধ্যায় ধরা পড়ে সদ্যজাতের জন্ডিস হয়েছে। শিশুটিকে ফের হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন স্থানীয় চিকিৎসক। ক্রোমা-পূজা
প্রথমেই সন্তানকে নিয়ে যান পিয়ারলেস হাসপাতালে। সেখানে নানা অজুহাত দেখিয়ে শিশুটিকে ভর্তি নেওয়া হয়না। এরপরে ক্রোমা-পূজা যান ঢাকুরিয়া আমরিতে৷ সেখান থেকেও ফিরে আসতে হয়৷শ্যামবাজারের যে নার্সিংহোমে মেয়েটি জন্মেছিল, সেই নার্সিং হোমটিও করোনার কথা বলে সদ্যোজাতকে ভর্তি নেয়নি।
শেষপর্যন্ত পার্কস্ট্রিটের নেওটিয়া হাসপাতালে জন্ডিসে আক্রান্ত ৪ দিনের ওই সদ্যোজাত সন্তানকে ভর্তি করাতে পারেন পূজা-ক্রোমা৷ আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে শিশুটি৷
ক্রোমা ও তাঁর স্ত্রী বলেছেন, পুলিশের সাহায্য পেয়েছিলাম বলেই পার্ক স্ট্রিটের হাসপাতালে মেয়েকে ভর্তি করাতে পেরেছেন। পূজা বলেছেন, ‘‘উত্তর কলকাতার ওই নার্সিংহোমে প্রায় ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়েছিল আমাদের। শেষ পর্যন্ত উপায় না দেখে আমার দাদা শ্যামপুকুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। পুলিশ এসে অনুরোধ করার পরে আমাদের অন্য হাসপাতালে রেফার করা হয়।’’

কড়া প্রশাসনিক নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আশঙ্কাজনক রোগীকে অবলীলায় ফিরিয়ে দেওয়ার কালচারে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলি কতখানি অভ্যস্ত, সেই অমানবিক চিত্রই আরও একবার সামনে এলো৷

Previous articleএবার কলকাতার চেম্বারের ভার্চুয়াল সভায় প্রধানমন্ত্রী!
Next articleকলকাতা পুরসভার কর্মীদের জন্য ১১টি বাস চালাবে পরিবহন দফতর