শিকেয় দূরত্ববিধি, তবু স্বস্তির ফেরি সার্ভিস

ট্রেন চালু হয়নি এখনও। ভাড়া বিতর্ক মেটেনি বলে রাস্তায় বেসরকারি বাসও হাতেগোনা। কিন্তু চালু হয়ে গিয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। এই পরিস্থিতিতে অফিস যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে চন্দননগর থেকে কলকাতার ফেয়ারলি পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চালু হল বুধবার থেকে। তবে কোনও সামাজিক দূরত্ব সেখানে চোখে পড়েনি। বরং লঞ্চের আসনে গায়ে গা ঘেঁসে বসেই অফিস রওনা হয়েছেন যাত্রীরা।

চন্দননগর থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত ভাড়া স্থির হয়েছে ৬০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৭টায় চন্দননগরের রানিঘাট থেকে ছেড়ে ভদ্রেশ্বর তেলেনিপাড়া, চাঁপদানী, শেওড়াফুলি, বাগবাজার হয়ে এই লঞ্চ কলকাতার ফেয়ারলি পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। হাতেগোনা সরকারি বাসে যেখানে বাদুরঝোলা হয়ে যেতে হচ্ছে, সেখানে কিছুটা অন্তত স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে পারবেন বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। তবে একই সঙ্গে তাঁদের অনেকেরই বক্তব্য, যেহেতু সামাজিক দূরত্ব মানতে কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানো হচ্ছে না, তাই ভাড়াটা আরেকটু কম করাই যেত।

অফিসযাত্রীদের কথা ভেবে শ্রীরামপুর থেকেও ফেয়ারলি পর্যন্ত লঞ্চ চালু হল। প্রতিদিন সকাল আটটায় ছাড়বে এই লঞ্চ। এর ভাড়া স্থির হয়েছে ৪৬ টাকা। আনলক পর্বে অফিস কাছারি খুলেছে। তাই কলকাতা যাওয়ার লোকও বেড়েছে। হুগলি জেলা থেকে কয়েকটি সরকারি বাস চালু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম হওয়ায় খুবই ভিড় হচ্ছে। তাই অফিস যাত্রীদের কথা ভেবেই পরপর চালু হচ্ছে লঞ্চ পরিষেবা। এর আগে উত্তরপাড়া থেকে ফেয়ারলি পর্যন্ত লঞ্চ চালু হয়েছে। বুধবার শ্রীরামপুর ও চন্দননগর ফেরিঘাট থেকে লঞ্চ চালু করা হয়। প্রথমদিন দু’টি ফেরি সার্ভিসেই ছিল উপচে পড়া ভিড়।

Previous articleমাহির শুশ্রূষায় সুস্থ হয়ে উড়ে গেল বসন্তবৌরি, পথ চেয়ে অপেক্ষায় জীভা
Next articleকরোনা আবহেই বাড়ছে সমুদ্রদূষণ, উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা