ডিজিটাল যুদ্ধে বিজেপিকে গোহারা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস

গোহারা হেরে গেল গেরুয়া শিবির। যে ডিজিটাল যুদ্ধ নিয়ে তাদের ছিল গর্বের দাপাদাপি, সেই যুদ্ধেই তারা হেরে গেল মঙ্গলবার। সৌজন্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল বনাম বিজেপির হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ মঙ্গলবার চলে সারাদিন। এদিনের এই যুদ্ধ আর একবার বুঝিয়ে দিল করোনার আতঙ্কের মাঝে আগামী বিধানসভা যুদ্ধে বড় ভূমিকা থাকছে ডিজিটাল দুনিয়ার। মানুষকে প্রভাবিত করার মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে ডিজিটাল মিডিয়া।

বিজেপির হ্যাশট্যাগ যুদ্ধ শুরু হয় মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহর বক্তব্য শুরু হওয়ার আগে থেকেই। হ্যাশট্যাগ ছিল “বাংলার জন সমাবেশ।” ট্রেন্ডিংয়ে এগিয়ে ছিল বাংলা। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের হ্যাশট্যাগ “বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ”। পাল্টা এই হ্যাশট্যাগ, পিছনে ফেলে দেয় বিজেপিকে। ট্যুইটার দখল করে নেয় তৃণমূল। শাহ বক্তব্য রাখতে শুরু করার পরেই হ্যাশট্যাগ কলকাতার ট্যুইটার দখল করে। সন্ধেয় দেখা যায় কলকাতার ট্রেন্ডিং তালিকার শীর্ষে হ্যাশট্যাগ “বেঙ্গল রিজেক্টস অমিত শাহ”।

তৃণমূলের ধাক্কায় শীর্ষস্থান হারাল বিজেপি। অমিত শাহ থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে পড়ায় বিস্মিত বিজেপির আইটি সেল। বিজেপির ছিল টানা প্রস্তুতি। আর তৃণমূলের হঠাৎ সিদ্ধান্ত। তবু তাতেই কেল্লা ফতে। মঙ্গলবার সন্ধে সাতটা নাগাদ ট্যুইটের ফলাফল বলছে, বিজেপির হ্যাশট্যাগ ট্যুইট করা হয় ৩৫ হাজার বার, সেখানে তৃণমূলের হ্যাশট্যাগ ৮৫ হাজার বার ট্যুইট করা হয়। প্রায় আড়াই গুনে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। হিসেব বলছে, ৪০টিরও বেশি যাচাই করা অ্যাকাউন্ট থেকে বিজেপির হ্যাশট্যাগে ট্যুইট বা রিট্যুইট করা হয়েছে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র ১৪ টি ভেরিফায়েড অ্যকাউন্ট থেকেই বিজেপির থেকে আড়াই গুন বেশি সংখ্যায় পৌঁছে যায়।

‘২১র যুদ্ধর দামামা যদি বেজে যায় মঙ্গলবার, তাহলে তার প্রথম রাউন্ডে ল্যান্ড স্লাইড ভিক্ট্রি তৃণমূলের।

Previous articleফের রেশন দুর্নীতি নিয়ে সরব রাহুল সিনহা, খাদ্যমন্ত্রীকে অপসারণের দাবি
Next articleনৃশংসতার মধ্যে মানবতার নজির! ৭২দিন পর সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার পথকুকুর