পর্যটনের অনুমতি মিললেও চেনা ছন্দ হারিয়েছে দিঘা

ভ্রমণ পিপাসু ও পর্যটকদের জন্য সুখবর। করোনার জেরে দীর্ঘ আড়াই মাস লকডাউন থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে বাঙালির অন্যতম প্রিয় দিঘা-সহ অন্যান্য সমুদ্র উপকূলীয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি। ইতিমধ্যেই সৈকত নগরী দিঘা থেকে শুরু করে শংকরপুর, তাজপুর ও মন্দারমনির বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তোরাঁ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের দিঘার আসার ক্ষেএে আর কোনও বাধা রইল না। এর আগে মন্দারমণি অধিকাংশ হোটেল খুলে দেওয়া হয়েছে। সরকারি সবরকমের নিয়ম-নীতি ও বাধা-নিষেধ মেনেই পর্যটন কেন্দ্র দিঘা ও শঙ্করপুরে হোটেল ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। এই নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বেঠক হয় পরিচালন কমিটি ও হোটেল মালিকদের মধ্যে।

একটানা লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই পর্যটন শিল্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হোটেল মালিক থেকে শুরু করে ছোট বড় রেস্তোরাঁ-সহ অন্যান্য ব্যবসাতেও এর প্রভাব পড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়ছে বহু কর্মী। তা স্বত্বেও ভাইরাস সংক্রমনের আতঙ্কে হোটেল খোলার ক্ষেত্রে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করতে নারাজ দিঘা হোটেল মালিকদের একটি অংশ । বর্তমানে সৈকত শহরজুড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টি হোটেল। হোটেল মালিক ও পরিচালন কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এই মুহূর্তে দিঘার ৩০% হোটেল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়া পর্ষন্ত কেবলমাত্র সমুদ্র ও সৈকত লাগোয়া ৩০% হোটেলকেই খোলার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কর্মীসংখ্যাও মোটামুটি ৩০% থাকবে হবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয় হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের পক্ষ থেকে হোটেল কর্মচারী ও পর্যটকদের সুরক্ষার দিকটি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে । প্রতিনিয়ত হোটেলগুলি স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। দিঘায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের ওপরও বেশ কিছু বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পর্যটকরা ইচ্ছামতো যেখানে সেখানে ঘুরতে পারবেন না। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রসশনের নির্দেশকে মান্যতা দিতে হবে।
তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসার ক্ষেএে পর্যটকদের কোন আগ্রহ নেই। অনলাইনের হোটেল বুকিং একবারে নেই বললেই চলে। ফলে হোটেলগুলি ধীরে ধীরে খুললেও পর্যটকবিহীন সৈকত নগরী দিঘা যেন তার চেনা ছন্দ হারিয়েছে।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleঋতুপর্ণকে উৎসর্গ করে ইউটিউবে মিমির প্রথম রবীন্দ্রসঙ্গীত “আমার পরাণ যাহা চায়”