ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের আওয়াজ উঠতেই সীমান্ত নিয়ে আগ্রাসন!

করোনা বিশ্ব মহামারি ইস্যুতে এমনিতেই আন্তর্জাতিক স্তরে প্রবল কোণঠাসা চিন এই সময়ে হঠাৎ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার ঝুঁকি নিল কেন? সীমান্ত সংঘর্ষের ‘সময়’ নিয়ে এই প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহল মহলের মতে, এর উদ্দেশ্য দ্বিমুখী।

১) চলতি কয়েক বছরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে অভূতপূর্ব উন্নতি। চিনের কাছে এটা উদ্বেগের। এর উপর করোনা সংকটের ইস্যুতে প্রকাশ্যে চিন বিরোধী অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। এই উদ্যোগে ট্রাম্প প্রশাসন ভারত সহ একাধিক দেশকে পাশে পেতে চাইছে। এই অবস্থায় চিন চাইছে আমেরিকার হাত শক্ত করা থেকে ভারতকে আটকাতে। করোনা সংকটের মধ্যে ভারত যাতে সীমান্ত সমস্যা নিয়েও ব্যস্ত থাকে তাই এই বিরোধ জিইয়ে রেখে ভারতের পায়ে বেড়ি পরাতে চায় চিন।

২) করোনা সংকটকে ভারতের দেশিয় শিল্পের জন্য জমি তৈরির কাজে ব্যবহারের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিদেশি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি বহু সংস্থা চিন থেকে ব্যবসা ভারতে সরানোর আগ্রহ দেখাচ্ছে। ফলে অর্থনৈতিক কারণেই ভারতকে বাণিজ্যের সম্ভাব্য গন্তব্য হতে দিতে চাইবে না চিন। এইসঙ্গে ভারতে চিনা পণ্য বয়কটের যে ডাক উঠেছে তাও চিনের পক্ষে প্রচণ্ড অস্বস্তিকর। সেজন্য ক্ষুব্ধ চিন এবার ভারতকে চাপে রেখে অস্থিরতা তৈরির পরিকল্পনা করেছে, যাতে ভারতের অর্থনীতিকেও কৌশলী চাপে রাখা যায়।

Previous articleভাইরাস সংক্রমণ রুখতে অভিনব উদ্যোগ মন্দিরের, বিনা স্পর্শে বাজবে ঘণ্টা
Next articleমেডিক্যালে করোনা রোগী ভর্তি নিয়ে দালাল চক্রের অভিযোগ! মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বিক্ষোভ কংগ্রেসের