সুপ্রিম নির্দেশ মেনে ভক্ত সমাগম ছাড়াই পুরীতে রথযাত্রা

দীর্ঘ টালবাহানা, আদালত থেকে শীর্ষ আদালত, বারবার শুনানির পরে শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পুরীতে রথের রশিতে টান পড়ল। সব রকম শর্ত মেনে এই উৎসব হয়।সকালে জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রার বিগ্রহকে মন্দির থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। চলে পূজা-অর্চনা। এরপর রীতি মেনে পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা ঝাড়ু দিয়ে দেন। বেলা বারোটা নাগাদ প্রথমে গুন্ডিচা মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বলভদ্রের রথ তালধ্বজ।

সরকারি নিয়মে প্রত্যেকটি রথের মধ্যে একঘণ্টা সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে। সেইমতো সুভদ্রার রথ দলদর্পন একটার পর রওনা দেয়। আর বেলা আড়াইটের পরে জগন্নাথদেবের রথ নন্দীঘোষ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ভক্তদের ঢল ছাড়াই পুরীতে রথযাত্রা হল। গ্র্যান্ড রোড দিয়ে রথ যায় মাসির বাড়ি। দৈতাপতি ও সেবায়েতরা রথের রশি টানেন। প্রত্যেক সেবায়েত এবং দৈতাপতিদের মুখে ছিল মাস্ক। তাঁদের সবার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ তাঁদেরই এই যাত্রায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণ অন্তরে অন্তরে স্যানিটাইজ করা হয় যাত্রাপথ।
ভক্ত ছাড়া শুধুমাত্র নির্দিষ্ট সংখ্যক সেবায়েতের ও দৈতাপতিদের উপস্থিতিতে বেলা বারোটা থেকে শুরু হয় রথযাত্রা।
রথযাত্রা উপলক্ষে সোমবার রাত 9 টা থেকে বুধবার দুপুর দুটো পর্যন্ত পুরী জেলায় সম্পূর্ণ শাটডাউন করা হয়েছে। একইসঙ্গে জারি রয়েছে 144 ধারা। এমনকী মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে কোথাও উঁচু বাড়ির ছাদে ও বহুতলে জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পুরীতে পালিত রথযাত্রা।

Previous articleএটিএম থেকে টাকা তোলার সীমা হোক ৫০০০ টাকা, প্রস্তাব রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কমিটির
Next articleনয়াদিল্লির পাক দূতাবাসের অর্ধেক কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে নির্দেশ দিল ভারত