বৈশাখীকে খোঁচা দিয়ে শোভনকে টানতে পারবে তৃণমূল? জল্পনা

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে তৃণমূলের নীতি কী?

এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে জল্পনা চরমে।
শোভনের 131 নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে নানা কথা ভাসছে। প্রশাসক শোভনই। দলের সব কাজে রত্না থাকছেন। আবার ওয়ার্ড সভাপতি খোকন গায়েনকে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুইয়ের ভারসাম্য রাখছেন। শোনা গেছে, রত্নাকে আর নতুন করে প্রজেক্ট করা হচ্ছে না। এটা শোভনের ফেরার রাস্তা করতে। কিন্তু রত্না ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন দলীয় সব কর্মসূচিতে তাঁকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদিও খোকন গায়েন সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে রত্না বিরক্ত বলেই খবর।

এদিকে রত্নার ক্ষমতা কমিয়ে যদি শোভনের ফেরার দরজা খোলার খবর ঠিক হয়, তাহলে উল্টোদিকে, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত। বৈশাখী অপমানিতও বটে। এই জট খুলছে না। বৈশাখীকে খোঁচা দিয়ে শোভনকে পুরনো জায়গায় ফেরানোর চেষ্টা কি সফল হবে? তৃণমূলসূত্রের খবর, দল এরকম কোনো চেষ্টাই করছে না। সবটাই রটনা। শোভনকে ফেরার কথা বলাই আছে। বাকিটা তাঁর বিষয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রত্না বলেন,” আমি কিছু বলতে পারব না। এইটুকু জানি আমার ওয়ার্ডে কোনো কর্মসূচি হলে সসম্মানে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে কাজ করানো হয়।”

এদিকে, শোভন কতদিন রাজনীতি ছেড়ে ” স্টে হোম, স্টে সেফ” নীতিতে বসে থাকবেন, তা নিয়েও চর্চা অনেক। বিজেপির রাজ্য কমিটিতে শোভন নেই। তাহলে তৃণমূলে ফেরাই অবধারিত নয় কি? কিন্তু সেটা কীভাবে এবং কবে? সেক্ষেত্রে বৈশাখীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছে।

 

Previous articleটলিউডে নেপোটিজম: শ্রীলেখার অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন চিরঞ্জিৎ
Next articleমামলায় স্থগিতাদেশ, ভাটপাড়ায় থাকছেন প্রশাসক