আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলে ভারতে বাড়বে কেন? কেন্দ্রকে তোপ সমীরের

পথে নেমে বামেরা প্রতিবাদ জানাল তেলের দাম বৃদ্ধির। আর তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে তোপ দাগল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। বিধায়ক সমীর চক্রবর্তী বৃহস্পতিবারের বিকেলে কেন্দ্রকে নিশানা করে বললেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে, ভারতে বাড়ছে। সমীরবাবুর দাবি, ব্যবসার কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে তাঁর কিছু বিষয় জানা আছে। তিনি বলেন, তেলের দাম নির্ধারণের বিষয়টি যখন খোলা বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তখন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও ভারতে বাড়ে কোন যুক্তিতে? সোনার মতোই রোজ ওঠানামা কর উচিত। কিন্তু ভারতে টানা ৬মাস ধরে বাড়ছে, বাড়ল টানা ১৯ দিন।

কেন তেলের দাম বৃদ্ধি? ব্যাখ্যা করে বিধায়ক বলেন, তেলে বিপুল উৎপাদন শুল্ক চাপানোর কারণে দাম বাড়ছে। মার্চে লকডাউন শুরুর আগে পেট্রোল ও ডিজেলের প্রতি লিটারে ৩ টাকা উৎপাদন শুল্ক চাপে। মে মাসে লিটার প্রতি পেট্রোলের উপর বাড়তি ১৩ টাকা উৎপাদন শুল্ক চাপে। প্রতি লিটার ডিজেলের উপর ১০ টাকা বাড়তি উৎপাদন শুল্ক চাপে। সব মিলিয়ে তিনমাসে পেট্রোল এর উপর ১৬ টাকা উৎপাদন শুল্ক চাপে, এবং ডিজেলের ওপর বাড়তি ১৩ টাকা উৎপাদন শুল্ক চাপে। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৪০ ডলারের নিচে। লকডাউনের আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ছিল ব্যারেল প্রতি ৭২ ডলার। তখন তেলের দাম ছিল ভারতের বাজারে প্রায় ৭৪ টাকা। আর এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারল প্রতি ক্রুড অয়েলের দাম ৪২ ডলার, আর ভারতে পেট্রোলের দাম পেরিয়ে গিয়েছে লিটার প্রতি ৮১ টাকা। সমীরের তোপ, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি মানে পরিবহনের দাম বৃদ্ধি, জিনিসপত্রের চড়া দাম। লকডাউনের মাঝে কেন্দ্র আসলে গরিব মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে।

Previous articleকরোনা পরিস্থিতি: সিবিএসই, আইসিএসই-র পরীক্ষা বাতিল, জানাল সংশ্লিষ্ট বোর্ড
Next articleবাগনান কাণ্ডে দুই অপরাধীর জেল হেফাজত