“দলে দুর্নীতিগ্ৰস্তদের শুধু তাড়ানোই নয়, শাস্তিও দেবো আমরা”, কড়া বার্তা পার্থর

দুর্নীতির সঙ্গে আপস কোনও নয়। মুখ্যমন্ত্রী সেটা আগেই স্পষ্ট করেছেন। দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করে যথাযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলেই তিনি জানিয়েছিলেন। বিশেষ করে করোনা ও আমফানের ত্রাণ নিয়ে যারা দুর্নীতি করছে, তাদের কোনও রাজনৈতিক রং না দেখে শাস্তি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবার সেই পথে হেঁটেই জেলায় জেলায় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের শো-কজ করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। যেখানে নন্দীগ্রামমের মতো জায়গা থেকে কমপক্ষে ২০০ জনকে দুর্নীতির অভিযোগে শোকজ করেছে ঘাসফুল শিবির।

এ নিয়ে ফের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি জানান, “কোনও মতেই দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে শুধু। শোকজ নয়, শাস্তিও হবে। সেক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখা হবে না।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বাংলায় ৮০ হাজার বুথ আছে। তার মধ্যে ১ হাজারও বুথেও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি। কিন্ত যাঁরা দুর্নীতি করেছে তাদের শুধু তাড়িয়ে দিলে হবে না। আমরা দেখব কীভাবে শাস্তি দিতে হবে। তবে বিরোধীরা শুধু দুর্নীতির ধুয়ো তুলে বাংলার পুনর্গঠনের কাজকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। এইসব কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্বিক পরিশ্রমকে ব্যর্থ করবার চেষ্টা চলছে।”

এরপরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় আইনের শাসন আছে বলেই বিরোধী রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করতে পারছে।
দীলিপবাবুরা কি উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান না?উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন আছে? উত্তরপ্রদেশে যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা কি দেখছেন না সেখানে কী চলছে?
তাই আমরা এ দিকে সময় নষ্ট করতে রাজি নই। আমরা বাংলার পুনর্গঠন-এর কাজ করছি।”

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। এই প্রশ্নের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে কটাক্ষ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দিলীপবাবু বদল হবে বদলাও হবে বলছেন। সেটা কী থেকে বলছেন? আসলে এখন নিজের কথাই ঢোক গিলতে হচ্ছে ওনাকে। তাই আমি বারবারই বলি দীলিপবাবুর নিজের দল সামলান। প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করবে। তৃণমূল সংগঠন বিষয়গুলো নিয়ে নেমেছে। কারা দুষ্কৃতী তা সবাই চিহ্নিত করতে পারবে। দুষ্কৃতীদের যে বিজেপি মদত দিচ্ছে সেটার জলের মতো পরিষ্কার। হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে দিয়ে করোনার চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাজ করছে আর দিলীপ বাবুর বাড়িতে বসে বসে বুকনি মারছেন। আমার কিছু বলার নেই উনি কী করছেন।”

একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রের কড়া সমালোচনা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, কয়লার হেডকোয়ার্টার সরানোর চেষ্টা করছে। ট্রেনে জাতীয় লাইফলাইন, তাকে বেসরকারি হাতে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই এই পেট্রোল, ডিজেল সমস্ত কিছুর দাম নিয়ে বিধিসম্মতভাবে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি সংঘটিত করব আমরা।”

Previous articleবদলাচ্ছে উপসর্গ, ভাইরাস এবার কোপ বসাচ্ছে পেটে!
Next articleবিজেপি’র সেই সোমনাথের বিরুদ্ধে এবার টাকা নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ