মরুরাজ্যে সংকট: মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজভবন ঘেরাও, পাল্টা সরব রাজ্যপালও

সুতোর উপর ঝুলছে সরকারের ভাগ্য! মরুরাজ্য রাজস্থানে মহামারির সংকটের মধ্যেও তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক সংকট। ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার যেখানে ১০১, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পক্ষে আছে টায়ে টায়ে ১০২ জনের সমর্থন। আর চাপের মুখে এই সমর্থনও কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকায় যত দ্রুত সম্ভব বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে চাইছেন গেহলট। আর তাই নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে নতুন সংঘাত শুরু হয়েছে।

সকালে রাজস্থান হাইকোর্টে একপ্রস্থ ধাক্কা খাওয়ার পর শুক্রবার বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত গেহলট শিবিরের নজিরবিহীন কাণ্ড দেখল রাজস্থান। বিধানসভার অধিবেশন ডাকার দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নেতৃত্বে কংগ্রেস বিধায়করা প্রায় চার ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখলেন রাজভবন। ১০২ জন বিধায়কের সমর্থন তাঁর সঙ্গে রয়েছে বলে রাজ্যপালকে তালিকা দিয়েছেন গেহলট। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন, সোমবার থেকেই রাজস্থান বিধানসভার অধিবেশন ডাকা হোক। যা আবার পরে বিবৃতি দিয়ে খারিজ করেছেন রাজ্যপাল।
রাজভবনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২১ দিনের নোটিশ না দিয়ে বিধানসভার অধিবেশন ডাকা যায় না। সেইসঙ্গে রাজ্যপাল এও বলেছেন, যেভাবে রাজভবন ঘেরাও করা হয়েছে তা সাংবিধানিক রীতিনীতির বিরোধী।

শুক্রবার রাতে টানা চার ঘণ্টা রাজভবনের লনে বিধায়কদের ধরনা ও শ্লোগানের পর গেহলট বলেন, রাজ্যপাল বলেছেন তিনি অধিবেশন ডাকবেন। তাই অ্যাজেন্ডা ঠিক করতে রাতেই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। এরপর আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে মন্ত্রিসভার বৈঠক। ঠিক হয় কোভিড পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক বিপর্যয়-সহ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলি নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে আলোচনা হবে।
শুক্রবার রাতেই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এই অবস্থায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য রাজ্যপালের এখনই বিধানসভার অধিবেশন ডাকা উচিত।

এদিকে এই ডামাডোলের মধ্যে মধ্যরাতে রাজভবনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, এত অল্প সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে অধিবেশন ডাকা যায় না। বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে হলে অন্তত ২১ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। রাজভবনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে আলোচনার আগেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সংবাদমাধ্যমে এই বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন তা জেনে রাজ্যপাল দুঃখিত ও ব্যথিত। সবমিলিয়ে, এই মহামারির আবহেও ক্রমেই ঘোরালো হয়ে উঠছে রাজস্থানের পরিস্থিতি।

 

Previous articleশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত ৪৮, ৯১৬
Next articleকতটা সফল হবে সপ্তাহের দ্বিতীয় লকডাউন!