হাওড়া ব্রিজে ব্যাপক কড়াকড়ি, ড্রোন উড়লো জোড়াসাঁকোয়

করোনা মোকাবিলায় রোটেশন পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক লকডাউন চালু করেছে রাজ্য সরকার। প্রতি সপ্তাহে দুটি ভিন্নদিনে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে কঠোরভাবে পালিত হবে এই লকডাউন বিধি। আজ, শনিবার সাপ্তাহিক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। এর আগে বৃহস্পতিবার লকডাউন লাগু ছিল। ওইদিন মোটের উপর সফল হয়েছে লকডাউন। আজও যাতে সঠিকভাবে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন পালিত হয়, তার জন্য সজাগ-সতর্ক পুলিশ প্রশাসন।

শনিবার সকাল থেকেই হাওড়া ব্রিজের চলছে পুলিশি নাকা চেকিং। শনিবার দ্বিতীয় দিনের লকডাউন কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এদিন সকাল থেকে যাঁরা রাস্তায় বেরিয়েছেন এবং হাওড়া ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করছেন, প্রত্যেককেই পুলিশ আটকাচ্ছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঠিক কী কারণে তাঁরা বেরিয়েছেন।

যদি জরুরি পরিষেবা পেতে বা দিতে মানুষ বেরিয়ে থাকেন, তাহলে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পুলিশকে দেখাতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সেই নথিপত্র কতটা যুক্তিসঙ্গত এবং বর্তমানে তার মেয়াদ রয়েছে কিনা তা দেখেই কিন্তু ছাড়া হচ্ছে।

এর মাঝেই হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে কিছু মানুষকে হেঁটে যাতায়াত করতে দেখা যায়। তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে যথাপোযুক্ত উত্তর জানতে চাওয়া হয়। উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে তাঁদের কাছ থাকা কাগজপত্র দেখা হয়।এমনকি, তাঁদের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়।

এছাড়াও যাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছেন, একইভাবে তাঁদেরও পথ আটকায় পুলিশ। জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন এবং কোথায় যাচ্ছেন? যদি কেউ অযথা রাস্তায় বের হয়, তাহলে পুলিশ তাদের আবেদন জানাচ্ছেন নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে। প্রয়োজনে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।

হাওড়া ব্রিজের মতোই কলকাতার সর্বত্র একই চিত্র। বৃহস্পতিবারের মতই এদিনও শহরের অনেক জায়গায় ড্রোন উড়িয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে পুলিশ। উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো থানার পুলিশের রাস্তায় চেকিং করার পাশাপাশি এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালায়।

আগের দিনের মতো এদিনও ধর্মতলা, সেন্ট্রাল এভিনিউ, শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা, মানিকতলা, দমদম, গরিয়াহাট, রাসবিহারী, পার্কস্ট্রিট, টালিগঞ্জ, পার্ক সার্কস সেভেন পয়েন্ট, মল্লিক বাজার, এজেসি বোস রোড, রুবি মোড়, বেহালা, বেলাঘটা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, এয়ারপোর্ট চত্বর সর্বত্রই ধু ধু অবস্থা। শুনশান সল্টলেক সেক্টর ফাইভ, মা উড়ালপুলে যানবাহনের দেখা মেলেনি। তবে শনিবার হিসেবে অনেক অফিস-কাছারি ছুটি থাকে বলে রাস্তাঘাট আরও ফাঁকা। জনমানুষ শূন্য।

Previous articleজাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসে আসবেন কোনো বিজেপি নেতা?
Next articleআসছে তৃণমূলের নয়া প্রচারাভিযান ‘সোজা বাংলায় বলছি’